তনুময় ঘোষাল: পাহাড়ে ঘেরা দুর্গম এলাকা। ধস, মেঘভাঙা বৃষ্টি, নিদেনপক্ষে তুষারপাত তো লেগেই থাকে। তবে অক্টোবর পর্যন্ত লে, লাদাখে যেতে পারেন পর্যটকরা। তারপর প্রাকৃতিক কারণে বন্ধ হয়ে যায় রাস্তা। ব্যতিক্রম ঘটল এবছর। হিমাচল প্রদেশই শুধু নয়, সেপ্টেম্বরেই মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত লে ও লাদাখও। আটকে পড়েছেন বহু বাঙালি পর্যটক ও অভিযাত্রী।
[ মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচল, আটকে বহু পর্যটক]
হিমালয়ের কোলে লে ও লাদাখ উপত্যকা যতটা দুর্গম, তার থেকে ঢের বেশি ওই এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য। তাই হাজারো প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে সেখানে ছুটে যান পর্যটক ও পরিবেশপ্রেমীরা। আর যাঁরা অ্যাডভেঞ্চচার স্পোর্টসের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের কাছে লে ও লাদাখের আকর্ষণ আরও বেশি। রোটাং পাসই শুধু নয়, লে থেকে হিমাচল প্রদেশের মানালি যাওয়ার রাস্তার পড়ে একাধিক সুউচ্চ পাস। কোনওটারই উচ্চতা ৪ হাজারের মিটারের কম নয়। সাইকেল চালিয়ে এই পাসগুলি অতিক্রম করেন সাইক্লিস্টরা। ট্রেকিং করতে যান অনেকেই। সাইকেল চালিয়ে লাদাখ ও লে উপত্যকা পরিক্রমা করতে চেয়েছিলেন অনির্বাণ আচার্য। sangbadpratidin.in-কে ফোনে অনির্বাণ জানালেন, নির্দিষ্ট রুটের ৯৫ শতাংশ পথ ঘোরা হয়ে গিয়েছে। প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগে লে-তে আটকে পড়েছেন তিনি। লে থেকে মানালি যাওয়ার জাতীয় সড়ক বন্ধ। ঘুরপথে শ্রীনগর হয়ে যে ফিরবেন, তারও উপায় নেই। অনির্বাণ আচার্যের দাবি, তিনি একা নন, ট্রেকিং করতে এসে লাদাখে আটকে পড়েছেন বহু মানুষ। বেশিরভাগই বাঙালি।
কাজের সুবাদে দীর্ঘদিন ধরে লাদাখে রয়েছেন বাঙালি তরুণ অর্ণব ঘোষ। তিনি জানালেন, সাধারণত ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত লাদাখের আবহাওয়া ভালই থাকে। পর্যটক কিংবা অ্যাডভেঞ্চার স্পোটর্স অংশ নিতে যাঁরা আসেন, তাঁদের বিশেষ অসুবিধা পড়তে হয় না। বরফ যে একেবারেই পড়ে না, এমন নয়। তবে রাস্তা পরিষ্কার করতেও বেশি সময় লাগে না সেনার। অর্ণবের দাবি, গত পাঁচ বছরে সেপ্টেম্বরে লাদাখে এমন প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখেননি। এবছরও শীতকালে সেভাবে বৃষ্টিও হয়নি। ফলে লাদাখের পাহাড়ি এলাকায় মার খেয়েছে কৃষিকাজও। এখনও পর্যন্ত যা খবর, পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় লে থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত জাতীয় সড়ক ফের চালুর চেষ্টা চলছে। বেশ কয়েকটি পাস থেকেও বরফ সরিয়ে ফেলা গিয়েছে।
[ জানেন, তিন বছরে স্রেফ প্রকল্পের উদ্বোধনে কত টাকা খরচ করেছে রেল?]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.