Advertisement
Advertisement

Breaking News

Manmohan Singh

দেশভাগে ভিটে ছাড়া, মনমোহনের প্রয়াণে পাকিস্তানের গাহ গ্রামে শোকের ছায়া

শোকার্ত ‘ঘরের ছেলে’কে হারানো মনমোহনের গ্রামও।

Manmohan Singh’s village in present-day Pakistan mourns his passing
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:December 29, 2024 1:43 pm
  • Updated:December 29, 2024 1:43 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কূটনৈতিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক সম্পর্ক যতই তিক্ত হোক না কেন, সৌজন্যে কমতি নেই। ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করল পাকিস্তান। পাক সরকারের তরফে সে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার শোকপ্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি শোকার্ত ‘ঘরের ছেলে’কে হারানো মনমোহনের গ্রামও।

১৯৩২ সালে অবিভক্ত ভারতের পাক পাঞ্জাব প্রদেশের গাহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন মনমোহন। দেশভাগের পর গ্রামটি এখন পাকিস্তানে। ইসলামাবাদ থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে মনমোহনের গ্রাম। যেখানে তাঁর ছোটবেলা কেটেছে। প্রাথমিক পড়াশোনাও সেখানেই। শিখেছিলেন উর্দুও। দেশভাগের পর ১৯৪৮ সালে ভারতে চলে আসে মনমোহনের পরিবার। তাই পাকিস্তানের গ্রামেই তাঁর শৈশব। বৃহস্পতিবার রাতে মনমোহনের মৃত্যুসংবাদ শোক বয়ে এনেছে সেই গ্রামে। তাঁরা বলছেন, ‘ঘরের ছেলে’কে হারানোর অনুভূতিই হচ্ছে!

Advertisement

পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শুক্রবার লিখেছেন, ‘ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মৃত্যুর খবরে আমি দুঃখিত। তিনি ছিলেন অসাধারণ অর্থনীতিবিদ এবং রাজনৈতিক নেতা। নিজের জ্ঞান এবং শান্ত স্বভাবের কারণে তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’ পাকিস্তানের মন্ত্রী আরও বলেন, ‘অর্থনীতির ময়দানে সাফল্যের পাশাপাশি আঞ্চলিক শান্তির প্রসারেও আগ্রহী ছিলেন মনমোহন। তিনি বিশ্বাস করতেন পারস্পরিক আলোচনা, সহযোগিতার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব। বিভিন্ন আঞ্চলিক সমস্যার সঙ্গে তিনি যে ভাবে যুঝেছেন, তা তাঁর এই বিশ্বাসের পরিচয় বহন করে। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি ভারত এবং পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। পাকিস্তানের মানুষ এবং পাকিস্তান সরকার ওঁর পরিবারের প্রতি, ওঁর দেশের মানুষের প্রতি এবং ভারত সরকারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছে।’

পাকিস্তানের যে গ্রামে মনমোহনের জন্ম, সেই গাহতে শুক্রবার গ্রামবাসীরা মিলে একটি স্মরণসভার আয়োজন করেছিলেন। মনমোহনকে স্মরণ করা হয় নানা স্মৃতিচারণার মাধ্যমে। তাঁর সঙ্গে একই স্কুলে পড়েছেন, এমন অনেকে এখনও আছেন গাহতে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement