সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কুকিদের জীবন বিপন্ন। অবিলম্বে মণিপুরে সেনা শাসন জারি করা হোক। এই দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে দ্রুত শুনানির আবেদন করেছিল কুকি (Kuki) জনগোষ্ঠীর একটা বড় অংশ। কিন্তু সেই দ্রুত শুনানির আরজি খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত।
কুকি-মেতেই সংঘর্ষে গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে অশান্ত মণিপুর (Manipur)। ‘মেতেই’ সংখ্যাগরিষ্ঠ উপজাতির তফসিলি জাতির স্বীকৃতির দাবি নিয়ে আন্দোলন ওই ছোট্ট রাজ্যে নাগা-কুকি জাতি গোষ্ঠীর মধ্যে পালটা প্রত্যাঘাতের জন্ম দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১২০ জনের। আহতের সংখ্যা হাজারের বেশি। ঘরছাড়া কয়েক হাজার মানুষ। কিছুদিন আগেই শান্তি ফেরাতে মণিপুর সফর করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। যদিও তারপরেও পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি। বেশ কিছু এলাকায় নতুন করে সংঘর্ষ ছড়িয়েছে।
মণিপুর ট্রাইবাল ফোরাম (MTF) নামের রাজ্যের কুকি সমাজের প্রতিনিধিত্বকারী একটি সংগঠনের দাবি, নিহতদের মধ্যে ৭০ জনই তাদের সমাজের অন্তর্গত। আহতদেরও বেশিরভাগই কুকি সম্প্রদায়ভুক্ত। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার কুকিদের জীবন রক্ষায় ব্যর্থ। তাই কুকিদের জীবন বাঁচাতে সেনা শাসন ছাড়া উপায় নেই। ওই সংস্থাটির তরফে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে দাবি করা হয়, অবিলম্বে মণিপুরকে পুরোপুরি সেনার হাতে তুলে দেওয়া হোক। সংস্থাটি সুপ্রিম কোর্টে দ্রুত শুনানির আরজি জানায়। কিন্তু বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ সেই আরজি ফিরিয়ে দিয়ে বলেন, এই মামলা দ্রুত শোনার বিষয় নয়। মণিপুরে যা চলছে তা নিছকই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিজনিত সমস্যা।
কুকিদের মামলার দ্রুত শুনানিতে রাজি না হলেও অন্য একটি মামলায় মণিপুরে আংশিকভাবে হলেও ইন্টারনেট চালু করা যায় কিনা, তা নিয়ে চিন্তাভাবনার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মণিপুরের বিশিষ্ট কিছু ব্যক্তিত্ব দ্রুত ইন্টারনেট চালুর দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে আরজি জানিয়েছিলেন। সেই আরজির ভিত্তিতেই সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে, অন্তত কিছু জায়গায় নিয়ন্ত্রিতভাবে ইন্টারনেট চালু করা হোক। দরকার পড়লে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার বন্ধ করে ইন্টারনেট চালু করুক প্রশাসন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.