ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ২৫ নভেম্বর মণিপুরের সেনাছাউনিতে কাজ করার সময় নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন ৫৬ বছর বয়সি লইশরাম কমলবাবু। ঘটনার পর এক মাসেরও বেশি সময় কেটে গেলেও রহস্যের কোনও কূলকিনারা পাননি তদন্তকারীরা। এই মামলার তদন্তভার এবার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার ইঙ্গিত দিল মণিপুর সরকার।
গত বছরের মে মাস থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে মণিপুর। কুকি ও মেতেই সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে ২৫০ জনের বেশি মানুষের। সেই আবহেই এক ঠিকাদারি সংস্থার হয়ে মণিপুরের কাংপোকপি জেলার লেমাখঙে সেনা ছাউনিতে কাজ করতে গিয়েছিলেন কমলবাবু। মেতেই সম্প্রদায়ভুক্ত এই প্রৌঢ় অসমের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, গত ২৫ নভেম্বর কাজ সারার পর রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। তারপর দীর্ঘ খোঁজাখুঁজিতেও কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি তাঁর। প্রৌঢ়ার পরিবারের অভিযোগ, কাংপোকপি জেলা অধ্যুষিত অঞ্চল। ফলে কুকিরাই তাঁকে অপহরণ করেছে। এই ঘটনায় মণিপুর হাই কোর্টেরও দ্বারস্থ হন কমলবাবুর পরিবার।
আদালতের নির্দেশে কাংপোকপির জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে নিয়ে উচ্চপর্যায়ের কমিটিও গঠন করা এই মামলার তদন্তে। তদন্ত কমিটিতে ছিলেন সেনার ৫৭ মাউন্টেন ডিভিশনের মুখ্য নিরাপত্তা আধিকারিক (সিএসও) এবং ইম্ফল পশ্চিমের পুলিশ সুপার। পুলিশের তরফে জানানো হয়, প্রৌঢ়ার খোঁজ পেতে তল্লাশি অভিযান চালান ২ হাজার নিরাপত্তারক্ষী। তবে ঘটনার ৩৪ দিন পেরিয়ে গেলেও কমলবাবুর কোনও খোঁজ মেলেনি। এই অবস্থায় মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানালেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিং। শনিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধন্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে সেনাছাউনিতে কর্মরত ঠিকাদার সংস্থার কর্মীর নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায়, তা বিতর্ক চরম আকার নিয়েছে। প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে মণিপুর সরকারকেও। এই ঘটনায় শুরু হয়েছে বিক্ষোভ ও আন্দোলন। এই অবস্থায় মণিপুরের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী হেইখাম ডিঙ্গো বলেন, ওই ব্যক্তির নিখোঁজ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.