সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংকট কাটল মনিপুর সরকারের। অসন্তোষ মিটিয়ে ফের গেরুয়া শিবিরেই শামিল হচ্ছেন বিজেপির জোটসঙ্গী এনপিপির চার বিধায়ক। চারজনই বুধবার নয়াদিল্লিতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেছেন। সঙ্গে ছিলেন এনপিপির নেতা তথা পার্শ্ববর্তী রাজ্য মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা। ফলে মণিপুরে বিজেপির হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়ার যে স্বপ্ন কংগ্রেস দেখেছিল, তা অধরাই থাকতে চলেছে।
আর এর নেপথ্যে বিজেপির দুই চাণক্য। প্রথমজন অবশ্যই অমিত শাহ, যাকে গোটা ভারতের রাজনীতির চাণক্য বলা হয়। আর দ্বিতীয়জন অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা উত্তরপূর্ব ভারতে এনডিএ জোটের কনভেনার হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। যাকে বলা হয় উত্তরপূর্বের রাজনীতির চাণক্য। এই দুই নেতার হস্তক্ষেপে মণিপুরে আপাতত ক্ষমতা ধরে রাখা নিশ্চিত করল বিজেপি।
উত্তরপূর্বের এই ছোট রাজ্যে হঠাত রাজনৈতিক ডামাডোল তৈরি হয় এনপিপির চার, তৃণমূলের এক এবং এক নির্দল বিধায়ক সরকারের উপর থেকে সমর্থন তুলে নিলে। মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকায় ক্ষোভপ্রকাশ করে দল ছাড়েন তিন বিজেপি বিধায়কও। এই ৯ জন বিধায়কের সমর্থন নিয়ে ইবোবি সিংয়ের (Okram Ibobi Singh) নেতৃত্বে সরকার গড়ার দাবি জানায় কংগ্রেস। বেগতিক বুঝে তড়িঘড়ি আসরে নামেন অমিত শাহ (Amit Shah)। দ্রুত মণিপুর পাঠান নিজের বিশ্বস্ত সৈনিক হিমন্তকে। যার হস্তক্ষেপে দ্রুত জট কাটার ইঙ্গিত মেলে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হন বিদ্রোহী বিধায়করা। দ্রুত তাঁদের মণিপুর থেকে গুয়াহাটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরই গতকাল অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। বিজেপির দাবি, দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বিক্ষুব্ধ চার বিধায়কের দাবি মেনে নিয়েছে। এবং ওই চার বিধায়ক এনডিএ তেই থাকবেন। ওই চার বিধায়ক এনডিএ-তে থাকার ফলে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোটের বিধায়ক সংখ্যা কমে হবে ২৫। আর বিজেপির সমর্থনে থাকছেন ২৬ জন বিধায়ক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.