Advertisement
Advertisement

Breaking News

Tejashwi Yadav

জনপ্রিয়তার লোভে যোগীর ‘চিনা সংস্করণ’ হওয়ার চেষ্টা করছেন হিমন্ত! তেজস্বীর মন্তব্যে বিতর্ক

ইচ্ছাকৃতভাবে মুসলমান ভাইদের বিব্রত করার মতো পদক্ষেপ করছেন হিমন্ত, বলছেন আরজেডি নেতা।

Manipur Chief Minister Slams Tejashwi Yadav over 'racist' jab at Himanta Sarma
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:September 1, 2024 12:06 pm
  • Updated:September 1, 2024 12:06 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসম বিধানসভায় জুম্মার নমাজের বিরতি বাতিল নিয়ে সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে আক্রমণ করতে গিয়ে মাত্রা ছাড়ালেন তেজস্বী যাদব! বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা তেজস্বীর বক্তব্য, “সস্তার জনপ্রিয়তা পেয়ে যোগী আদিত্যনাথের চিনা সংস্করণ হওয়ার চেষ্টা করছেন হিমন্ত।” এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ আসছে বিজেপির উত্তর-পূর্ব ভারতের নেতাদের তরফে।

শুক্রবারই নির্দেশিকা দিয়ে অসম বিধানসভায় জুম্মার নমাজের জন্য ২ ঘণ্টার বিরতির নিয়ম বাতিল করেছে সে রাজ্যের বিজেপি সরকার। সেই ব্রিটিশ আমলে ১৯৩৭ সালে অসম বিধানসভায় মুসলিম লিগের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, রাজ্যের মুসলিম বিধায়কদের জন্য শুক্রবার অর্থাৎ জুম্মার দিন ১২টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত নমাজ বিরতি দেওয়া হবে। তখন থেকেই চলে আসছিল এই নিয়ম। হিমন্ত বিশ্বশর্মা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরই রাজ্য থেকে প্রাচীন এই নিয়ম তুলে দিলে তৎপর হন। ৭ সদস্যের কমিটি গড়ে খতিয়ে দেখা হয় এই নিয়মের কোনও প্রয়োজন রয়েছে কিনা। দু’দিন আগে কমিটি জানায় নিয়মের কোনও প্রয়োজন নেই। এর পর শুক্রবার বিধানসভায় সর্বসম্মতিক্রমে অবলুপ্ত করা হয় এই নিয়ম।

Advertisement

[আরও পড়ুন: CBI হাজিরার পরই গুরুতর অসুস্থ সন্দীপ ‘ঘনিষ্ঠ’ দেবাশিস, ভর্তি ICU-তে]

হিমন্তের সেই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করছে বিরোধী শিবির। এই ইস্যুতে অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধতে গিয়েই তেজস্বী যাদব বলছেন, “অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য যোগীর চিনা সংস্করণ হওয়ার চেষ্টা করছেন এবং ইচ্ছাকৃতভাবে মুসলমান ভাইদের বিব্রত করার মতো পদক্ষেপ করছেন। বিজেপি নেতারা ঘৃণা ছড়ানোর লক্ষ্যে মোদি-শাহদের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যে এবং মেরুকরণের লক্ষ্যে মুসলমানদের সফট টার্গেট করছে।” তেজস্বীর দাবি, “স্বাধীনতার লড়াইয়ে আরএসএস ছাড়া সব ধর্মের মানুষ আত্মত্যাগ করেছেন। আমরা বেঁচে থাকতে মুসলমানদের কেউ ক্ষতি করতে পারবে না।”

[আরও পড়ুন: পয়েন্ট ব্ল্যাক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন ব্যবসায়ীকে, চাঞ্চল্য নিউটাউনে]

তেজস্বীর এই ‘চিনা সংস্করণ’ শব্দটি নিয়েই যত বিতর্ক। আসলে উত্তর-পূর্ব ভারতের নাগরিকদের ভারতের অন্যান্য প্রান্তে গিয়ে বহু বর্ণবিদ্বেষী আক্রমণের শিকার হতে হয়। তেজস্বীও হিমন্তকে নিয়ে সেই বিদ্বেষমূলক আচরণ করেছেন বলেই অভিযোগ মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিংয়ের। তিনি বলছেন, “এভাবে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করাটা ইন্ডি জোটের নেতারা অভ্যাস করে ফেলেছেন। এরা দেশের ইতিহাস-ভূগোল কিছুই জানেন না।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement