ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র বছর খানেক আগে মণিপুরে সরকার বাঁচানোর জন্য লড়তে হচ্ছিল BJP-কে। এখন সেই রাজ্যেই অস্তিত্বের সংকটে ভুগছে বিরোধী কংগ্রেস। দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে মঙ্গলবার মণিপুর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন গোবিন্দদাস কোন্থাজম (Govindas Konthoujam)। সূত্রের খবর, তিনি দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন। শুধু তিনি একা নন, দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন আরও ৭ কংগ্রেস বিধায়ক।
২০১৭ সালের মণিপুর বিধানসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে উঠে এসেছিল কংগ্রেস (Congress)। ৬০ আসনের মনিপুর বিধানসভায় কংগ্রেসের দখলে যায় ২৮টি আসন। বিজেপি পায় ২১টি আসন। কিন্তু ঘুরপথে এনপিপির চার, এনপিএফের চার, তৃণমূলের এক, এলজেপির ১ এবং একজন নির্দল বিধায়কের সমর্থনে সরকার গড়ে বিজেপি। রাজ্যপাল নাজমা হেপাতুল্লাও সেসময় কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিজেপিকে সরকার গড়তে আহ্বান করেন। এন বীরেন সিংয়ের (N. Biren Singh) নেতৃত্বে মণিপুরে সরকার গড়ে গেরুয়া শিবির। পরে বেশ কয়েক দফায় মোট ৭ জন কংগ্রেস বিধায়কও পদত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেন। যাদের দলত্যাগ বিরোধী আইনে বিধায়ক পদ খোয়াতে হয়েছে। আরও ৮ জন বিধায়ক বিজেপির পথে পা বাড়িয়ে। এর আগে গতবছর আগস্ট মাসে একবার NDA জোট ভাঙিয়ে সরকার গড়ার চেষ্টা করেছিল হাত শিবির। কিন্তু সেবারে তাঁরা ব্যর্থ হয়। তারপর থেকেই ফের দলে ভাঙন শুরু হয়েছে।
গত ডিসেম্বরেই গোবিন্দদাসকে প্রদেশ সভাপতি নিয়োগ করেছিল কংগ্রেস। ৬ বারের এই বিধায়ক এর আগে বিধানসভায় কংগ্রেসের মুখ্য সচেতকও ছিলেন। তাঁর দলত্যাগে কংগ্রেসের মিশন ২০২০ ধাক্কা খেল তাতে সন্দেহ নেই। আগামী বছরই সেরাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। কংগ্রেসের টার্গেট অন্তত ৪৫টি আসন জিতে রাজ্যে ক্ষমতায় ফেরা। বিধায়কদের দলত্যাগের পরও সেই টার্গেট থেকে সরছে না হাত শিবির। তাদের দাবি এই সম্ভাব্য দলত্যাগের কোনও প্রভাব কংগ্রেসের জনভিত্তিতে পড়বে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.