প্রণব সরকার, আগরতলা: সংসদীয় রাজনীতি থেকে অবসর নিলেন সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য তথা ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। এবারের বিধানসভা নির্বাচনেও (Tripura Assembly Election) তিনি প্রতিদ্বন্দিতা করছেন না। তবে দলের প্রচারে মানিকবাবু যোগ দেবেন বলেই জানা গিয়েছে।
ত্রিপুরায় বামফ্রন্টের আহ্বায়ক নারায়ণ কর জানিয়েছেন, মানিক সরকার (Manik Sarkar) দলের প্রচারে অংশ নেবেন। নির্বাচন পরিচালনায় নেতৃত্ব দেবেন। আসলে মানিক সরকার অনেক আগেই রাজনীতি থেকে অবসর নিতে চেয়েছিলেন। দলের কাছে অনুরোধও করেছিলেন। তবে সিপিএম চাইছিল অন্তত এবারের বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করুন তিনি। কিন্তু ত্রিপুরার চারবারের মুখ্যমন্ত্রী নিজের অবস্থানে অনড় ছিলেন। শেষমেশ পার্টি মানিকবাবুর অনুরোধ মেনে নিল।
১৯৯৮ সালের মার্চ মাস থেকে ২০১৮ সালের ৮ই মার্চ পর্যন্ত ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মানিক সরকার। সিপিএম রাজ্য কমিটির সদস্য পদে আছেন ৫০ বছর ধরে। দলের রাজ্য সম্পাদক ছিলেন পাঁচ বছর। পলিটব্যুরোতে আছেন প্রায় আড়াই দশক ধরে। বুধবার সীতারাম ইয়েচুরির উপস্থিতিতে তিনি সংসদীয় রাজনীতি থেকে অবসরের ঘোষণা করেছেন। মানিকবাবু দলকে জানিয়েছেন, অনেক বছর সংসদীয় রাজনীতিতে ছিলেন তিনি। এবার অন্য কাউকে সামনে এনে ভোটের লড়াই হোক। তিনি দলের সৈনিক হিসেবে যাবতীয় দায়িত্ব পালন করবেন।
যদিও মানিকের এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে অনেকে ত্রিপুরার স্থানীয় রাজনীতির বাধ্যবাধকতা দেখছেন। আসলে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট মানিকবাবু মেনে নিতে পারেননি। তাই তিনি জোটের মুখ হতে চাননি। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও কংগ্রেস সিপিএম জোটের বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। সিপিএম এইবারের নির্বাচনে ৬০টি আসনের মধ্যে কংগ্রেসকে ১৩টি আসন ছেড়েছে। নির্বাচনে এবার সিপিএমের নতুন মুখ ২৪ জন। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন চৌধুরি সাক্রম আসন থেকে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। নির্বাচনে দাঁড়াননি বিরোধী দলের উপনেতা বাদল চৌধুরী। জিতেনবাবু জানিয়েছেন কংগ্রেসকে তারা ১২টি আসন ছাড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু এআইসিসির (AICC) পর্যবেক্ষকের অনুরোধে আরও একটি আসন ছাড়া হয়েছে। বস্তুত ত্রিপুরায় বাম-কংগ্রেস জোটের পক্ষে হাওয়া তৈরি হচ্ছিল। কিন্তু মানিক সরকারের নির্বাচনে না লড়ার সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও ধাক্কা খাবে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.