সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে ওএমআর শিট (OMR Sheet) জালিয়াতির মূল পাণ্ডা মানিক ভট্টাচার্যই। বেআইনি নিয়োগের পিছনে বিপুল টাকার খেলা হয়েছে। জেলায় জেলায় নিয়োগের জন্য় আলাদা-আলাদা অঙ্কের টাকা নেওয়া হত। সুপ্রিম কোর্টে এমনই রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই। রিপোর্টে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
সিবিআইয়ের (CBI) দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃতদের বয়ানের সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্য়ের বয়ান মেলেনি। ইতিমধ্য়ে পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি রত্না চক্রবর্তীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি, জেরার মুখে রত্না জানিয়েছেন, চাপের মুখে একাধিক কাগজে সই করতে হয়েছে তাঁকে। সেই চাপ কে বা কারা দিত, তা অবশ্য খোলসা করা হয়নি রিপোর্টে।
সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়া রিপোর্টে সিবিআই দাবি করেছে, জেলায়-জেলায় চাকরি বিক্রির দর আলাদা ছিল। কোনও কোনও জেলায় আবার দর কষাকষিও হয়েছে। এক-একটি নিয়োগের পিছনে ছিল বড় অঙ্কের লেনদেন। জানা গিয়েছে, কিছু কিছু প্রার্থীকে ১ নম্বর অতিরিক্ত দেওয়া হয়েছিল। তার জন্য়ই তারা চাকরি পেয়েছেন। কোন জেলায় কতজনকে চাকরি পাইয়ে দিতে অতিরিক্ত নম্বর দেওয়া হয়েছিল, তারও একটি তালিকা প্রকাশ্যে এসেছে।
শীর্ষ আদালতে জমা পড়া সিবিআই রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর ২৪ পরগনার ১১, মুর্শিদাবাদের ২৬, বীরভূমে ১৩ জনকে দেওয়া নিয়োগপত্রের নম্বর যোগ্যতামানের চেয়ে কম ছিল। আবার কলকাতা, কোচবিহার এবং পুরুলিয়ার ৩৬ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে যা টেট পাস করেননি। রিপোর্ট বলছে, উর্দুমাধ্যমের ২ জন প্রার্থী বাংলা ভাষায় টেট পাস করতে না পেরেও নিয়োগপত্র পেয়েছে। সবমিলিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়া সিবিআই রিপোর্ট ঘিরে চাঞ্চল্য় বেড়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.