সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাগঘড়ার জঙ্গলে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার হত্যা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত। রাজ্য সরকারের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করলেন কেন্দ্রীয় নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মানেকা গান্ধী। সঞ্জয়-জায়ার অভিযোগ, বাংলায় বন্যপ্রাণীদের কোনও সুরক্ষা নেই। শিকার উৎসবের নাম করে পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলে ঢোকেন আদিবাসীরা। মাফিয়াদের মদতে নির্বিচারে বন্যপ্রাণীদের হত্যা করেন তাঁরা। অথচ সব জেনেও রাজ্য সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয় না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে পালটা জবাব দিয়েছেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও।
[দেড়মাসের বাঘবন্দি খেলা শেষ, বাগঘরার জঙ্গলে মিলল রয়্যাল বেঙ্গলের মৃতদেহ]
মাস দেড়েক আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের লালগড়ে জঙ্গলে লাগানো ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল বাঘের ছবি। শেষপর্যন্ত লালগড় থেকে প্রায় ২০ কিমি দূরে পশ্চিম মেদিনীপুর সদর ব্লকের বাগঘ়ড়া জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছিল দক্ষিণরায়। বাঘ ধরতে চেষ্টা কোনও কসুর করেনি রাজ্য সরকারের বন দপ্তর। জঙ্গলে নজর রাখতে ব্যবহার করা হয়েছিল ড্রোন। কিন্তু, বাঘ আর ধরা পড়েনি। গত শুক্রবার বাগঘড়ার জঙ্গলে বাঘটির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন গ্রা্মবাসীরা। বছর এই সময়ে শিকার উৎসব পালন করতে জঙ্গলে যান পশ্চিম মেদিনীপুরের আদিবাসীরা। বেশ কয়েকবার জঙ্গলে গিয়ে বাঘের হামলার মুখেও পড়েছিলেন তাঁরা। বস্তুত, যেদিন বাঘের মৃতদেহ উদ্ধার হয়, সেদিনও বাগঘড়ার জঙ্গলে বাঘের থাবায় রক্তাক্ত হয়েছিলেন ২ জন আদিবাসী যুবক। বনকর্তাদের দাবি, আত্মরক্ষার করতে গিয়ে আদিবাসী শিকারিরাই বাঘটি হত্যা করেছেন। কয়েকজনের বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করেছে বনদপ্তর। যদিও বাঘ হত্যার ঘটনায় বনদপ্তরের ভূমিকা সমালোচনা করেছেন পরিবেশপ্রেমীরা। তাঁদের বক্তব্য, বনকর্তাদের ব্যর্থতার কারণে বেঘোরে মরতে হল বাঘটিকে। আর এবার কার্যত একই অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মানেকা গান্ধীও।
[ ধানজমির পাশে উদ্ধার অজ্ঞাতপরিচয় মহিলার অর্ধনগ্ন ঝুলন্ত দেহ]
কী বলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী? মানেকা গান্ধীর অভিযোগ, এ রাজ্যে বন্যপ্রাণীদের কোনও সুরক্ষা নেই। পশ্চিম মেদিনীপুরের শিকার উৎসবের নামে জঙ্গলে ঢোকেন আদিবাসীরা। হাজার হাজার বন্যপ্রাণীদের হত্যা করেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অবশ্য দাবি, নিজেদের জন্য নয়, মাফিয়াদের মদতে বন্যপ্রাণীদের হত্যা করেন আদিবাসীরা। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব জেনেও কোনও ব্যবস্থা নেন না। কেন্দ্রকে পালটা জবাব দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর বক্তব্য, বাঘটি ধরতে সবরকমভাবে চেষ্টা চালিয়েছিল বন দপ্তর। কিন্তু, দুভার্গ্যবশত বাঘটি মারা গিয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে অযথা রাজনীতি করার চেষ্টা করছে কেন্দ্র।
[বৈশাখের দহনেও বরফে ঢাকল সিকিম
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.