সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হায়দরাবাদে পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণের পর আগুন জ্বালিয়ে দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার দশদিনের মাথায় পুনর্নির্মাণের সময় আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে চার অভিযুক্ত। গুলি চালিয়ে খুন করে দেওয়া হয় অভিযুক্তদের। এনকাউন্টারে অভিযুক্তদের মৃত্যু আদৌ ঠিক নাকি ভুল সিদ্ধান্ত, এই প্রশ্নে দ্বিধাবিভক্ত বিভিন্ন মহল। একাংশ যখন পুলিশের ভূমিকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ তখন আরেক পক্ষ বিরোধিতার সুর চড়িয়েছে।
গত ২৭ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর। মাঝে কেটে গিয়েছে মাত্র দশদিন। আপাতত জেলেই দিন কাটছিল হায়দরবাদ গণধর্ষণ কাণ্ডের চার অভিযুক্তের। তরুণী চিকিৎসককে গণধর্ষণে অভিযুক্তদের বিচার, শাস্তি এই সব ইস্যুতে সুর চড়িয়েছিল প্রায় গোটা দেশ। কেন তেলেঙ্গানা সরকার কোনও কিছু বলছে না, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকেই। বাকবিতণ্ডার মাঝে শুক্রবার সকালে অন্যরকম খবর পান নির্যাতিতার পরিজনেরা। তাঁরা জানতে পারেন এদিন সকালে পুনর্নির্মাণের সময় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে চার অভিযুক্ত। বাধ্য হয়ে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এনকাউন্টারে খতম হয় প্রত্যেক অভিযুক্ত। মেয়ের মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী তাদের খতম হওয়ার খবরে খুশি নির্যাতিতার পরিবার। হায়দরাবাদ-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে খুশির আবহ। হায়দরবাদ পুলিশকে স্যালুট জানাচ্ছেন অনেকেই।
তবে মানবাধিকারের প্রশ্ন তুলে এনকাউন্টারের তীব্র বিরোধিতা করছেন কেউ কেউ। মানেকা গান্ধী বলেন, “যা হয়েছে তা দেশের জন্য অত্যন্ত ভয়ংকর। যেমনই পরিস্থিতি আসুক না কেন নিজের হাতে আইন তুলে নিতে পারেন না। আদালতের মাধ্যমে ওদের বিচার হওয়ার প্রয়োজন ছিল।”
#WATCH Maneka Gandhi:Jo hua hai bohot bhayanak hua hai desh ke liye. You can’t take law in your hands,they(accused) would’ve been hanged by Court anyhow. If you’re going to shoot them before due process of law has been followed, then what’s the point of having courts,law&police? pic.twitter.com/w3Fe2whr31
— ANI (@ANI) December 6, 2019
জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফে এনকাউন্টারে কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে সংশয় মাথাচাড়া দিয়েছে। চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা বলেন, “আমরা সকলেই ওই অভিযুক্তদের ফাঁসি চেয়েছিলাম। একজন মানুষ হিসাবে খুশি। তবে আইনি পথে শাস্তি হলে বোধহয় আরও ভাল হত।”
Rekha Sharma, National Commission for Women on #Telangana encounter: We always demanded death penalty for them, and here police is the best judge, I don’t know in what circumstances this happened. https://t.co/cCfPbqy3rB pic.twitter.com/mG66un7DBv
— ANI (@ANI) December 6, 2019
তবে যে যাই বলুন না কেন আমজনতা যথেষ্টই খুশি। এনকাউন্টারে অভিযুক্তদের খতম হওয়ার ঘটনাকে নিজেদের জয় হিসাবে দেখছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই মিষ্টি-ফুল বিলি করে পুলিশের হাতে রাখি বেঁধে চলছে হইহুল্লোড়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.