সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছুটির পর স্কুলের গেটের বাইরে অপেক্ষা করছিল মেয়েটি। বয়স ৭। দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। বাবা কিংবা মায়ের আসার কথা ছিল তাকে বাড়ি নিয়ে যেতে। কিন্তু, তার আগেই সেখানে হাজির হল দু’জন। সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা গেল, মেয়েটিও দিব্যি তাদের সঙ্গে গল্প করতে করতে চলে এল স্কুল ছেড়ে। এর মিনিটখানেক পরেই তাকে ধর্ষণ করে ওই দুই ব্যক্তি। চালায় চূড়ান্ত অত্যাচার। মারধর। ছোট্ট মুখটায় নির্মমভাবে চড়-থাপ্পড় মারে তারা। এমনকী লাথিও। শেষে ধারালো ছুরি দিয়ে ওই বালিকার গলায় গভীর ক্ষত তৈরি করে রেখে পালিয়ে যায় দুই ধর্ষক। মঙ্গলবার দু’জনকেই ফাঁসির সাজা শোনাল মধ্যপ্রদেশের বিশেষ আদালত। ঘটনাটি ঘটার ঠিক একমাস ২৬ দিন পর।
গত ২৬ জুন মধ্যপ্রদেশের মান্দসৌরে ঘটে গণধর্ষণের এই ঘটনাটি। দুই ধর্ষক ইরফান এবং আসিফকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই। সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্য নিয়ে। মামলাটি পরে যায় সিবিআইয়ের হাতে। গতমাসেই ধৃতদের বিরুদ্ধে ৫০০ পাতার চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। প্রমাণ হিসাবে গণ্য হয় ওই বালিকার চুলের নমুনা ও সিসিটিভি ফুটেজ। সেই মামলারই সাজা শোনাল মধ্যপ্রদেশের বিশেষ আদালত। আক্রান্ত ওই বালিকা অবশ্য এখনও চিকিৎসাধীন। তার ঘাড়, গলা, মুখ ও গোপনাঙ্গ মারাত্মকভাবে জখম হয় ওই ঘটনায়।
নির্যাতিতাকে উদ্ধার করার পর ধর্ষণের ঘটনাটি নিয়ে উত্তাল হয় মধ্যপ্রদেশের নাগরিক সমাজ। বিরোধী কংগ্রেস মধ্যপ্রদেশের শিবরাজ সিং চৌহান সরকারকে তুলোধোনা করে ঘটনাটি নিয়ে। নারী সুরক্ষায় মধ্যপ্রদেশ সরকার কোনও পদক্ষেপই করছে না বলেও সরকারকে দোষারোপ করে তারা। ধর্ষণের মামলার তদন্ত সিবিআইকে দেওয়ার দাবিও তোলে তারাই। এরপরই মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চৌহান সিবিআইকে ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেন। সম্প্রতি দুই ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন চৌহান। এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের কাছে একটি চিঠি লেখেন তিনি। তাতে মামলাটির দ্রুত নিষ্পত্তি এবং ভবিষ্যতে হাই কোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে যাতে মামলাটির গতিরোধ না হয়, সে ব্যাপারেও অনুরোধ করেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.