সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত গণেশ মিসকিনই সাহিত্যিক ও গবেষক ডঃ এম এম কালবুর্গির হত্যাকারী। এই দাবিই করল ওই হত্যাকাণ্ডের তদন্তের জন্য গঠিত কর্ণাটক পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট। ২০১৫ সালের আগস্টে খুন হন কালবুর্গি। শনিবার হুব্বালি-ধারবাদ জেলা আদালতে এই মামলার চার্জশিট জমা দিয়েছে সিট।
এরপর বিশেষ তদন্ত সংস্থার তরফে একটি প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই মামলায় অন্য অভিযুক্তরা হল অমল কালে, প্রবীণ প্রকাশ চতুর, বাসুদেব ভগবান সূর্যবংশী, শরদ কলসকার এবং অমিত রামচন্দ্র বাড্ডি। সিট-এর দাবি, ‘সনাতন সংস্থা’ নামে একটি কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন থেকে প্রকাশিত ‘ক্ষাত্র ধর্ম সাধনা’ বই থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিল অভিযুক্তরা।
কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে কেন তারা কালবুর্গিকে হত্যা করল? এর কারণ হিসেবে সিট বলছে, কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার জন্যই তাঁকে হত্যা করা হয়। কুসংস্কারমুক্ত সমাজের লক্ষ্যে কর্ণাটক কুসংস্কার প্রতিরোধ বিল ২০১৩ কার্যকর করা নিয়ে আন্দোলন করছিলেন কালবুর্গি। ২০১৪ সালের ৯ জুন বেঙ্গালুরুর বিজ্ঞানভবনে একটি আলোচনা সভায় স্বাগত ভাষণও দেন। এরপরই তিনি এই কট্টরপন্থীদের ‘দুর্জন’ হয়ে ওঠেন। তারা সবাই মিলে কালবুর্গিকে হত্যার চক্রান্ত করে। এই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে একটি বাইকও চুরি করে তারা। দক্ষিণ কানাড়া জেলার পিলাথাবেট্টু গ্রামে চলতে থাকে বন্দুক চালানোর প্রশিক্ষণও।
সিটের দাবি, ২০১৫ সালের ৩০ আগস্ট সকাল সাড়ে আটটায় চুরি করা বাইক চড়ে কালবুর্গির বাড়ি যায় প্রবীণ চতুর ও গণেশ মিসকিন। গণেশ বাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে কালবুর্গির কপালে পরপর দু’টি গুলি করে। এরপর ফলে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি। এরপর ২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর গৌরী লঙ্কেশকেও খুন করে অভিযুক্তরা। দু’টি হত্যাকাণ্ডেই দেশজুড়ে তোলপাড় হয়। লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ডের তদন্তে জানা যায়, গণেশ বাইক চালিয়েছিল এবং পরশুরাম ওয়াঘমারে তাঁকে গুলি করে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.