ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিশোরী কন্যার ধর্ষণে (Rape) অভিযুক্ত মধ্যবয়স্ক এক ব্যক্তিকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। এই কাজে তাঁর সঙ্গে ছিলেন মেয়েটির মামাও। মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) এই ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কিনা তাও তদন্ত করে দেখা যাচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে একথা জানা গিয়েছে।
ঠিক কী হয়েছিল? জানা গিয়েছে, সোমবারই পুলিশ খবর পায় অজনল নদীতে ভাসছে এক মুণ্ডহীন দেহ। পরে ক্রমেই জানা যায়, মৃত ব্যক্তির নাম ত্রিলোকচাঁদ। তদন্ত আরও এগোতেই পুলিশ জানতে পারে শনিবারের পর থেকে ৫৫ বছরের ওই ব্যক্তিকে কেউই দেখতে পাননি।
এসডিওপি রাকেশ পেন্ড্রো এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ”তদন্ত থেকে জানা গিয়েছে, ১৪ বছরের এক কিশোরীকে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মেয়েটির বাবা ও মামা ত্রিলোকচাঁদকে বাইকে বসিয়ে নদীর ধারে নিয়ে যান। তারপর সেখানেই তাঁর মাথা কেটে খুন করেন দু’জনে। এরপর দেহটি দুই খণ্ডে কেটে সেটাও ভাসিয়ে দেওয়া হয় নদীতে।”
পুলিশের অনুমান, মাছ কাটার বঁটি দিয়েই সম্ভবত অভিযুক্তের মাথা কেটে ফেলা হয়েছিল। মনে করা হচ্ছে, অনেকদিন ধরেই অভিযুক্ত ধর্ষককে হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন নির্যাতিতার বাবা ও মামা। শনিবার সুযোগ বুঝে তাঁকে অপহরণ করে বাইকে বসিয়ে নদীতীরে নিয়ে গিয়ে খুন করেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তি ও অভিযুক্তদের মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে এলাকায়। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ধৃতদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.