Advertisement
Advertisement
Assam

বিফ বিক্রির অভিযোগ, জোর করে শূকরের মাংস খাওয়ানোর চেষ্টা মুসলিম ব্যক্তিকে

ভিডিও ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় নেটদুনিয়ায়৷

Man was attacked by a mob for allegedly selling beef in Assam
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:April 9, 2019 9:44 am
  • Updated:April 9, 2019 10:12 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্যুৎ গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে একটি ভিডিও। যা নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক দাড়িওয়ালা মাঝবয়সি ব্যক্তিকে রাস্তার মাঝে ফেলে তাঁকে ঘিরে ধরেছে একদল মানুষ। জানতে চাওয়া হচ্ছে তিনি বাংলাদেশি কিনা। শুধু তাই নয়, তাঁকে জোর করে শূকরের মাংস খাওয়ানোর চেষ্টাও করা হচ্ছে। নির্বাচনের আগে এমন ভিডিও দেখে শিউরে উঠছে গোটা দেশ।

ঘটনা অসমের বিশ্বনাথ চারিয়ালির। গত ৩৫ বছর ধরে এই এলাকাতেই মাংসের ব্যবসা করছেন শওকত আলি নামে বছর আটষট্টির ওই ব্যক্তি। স্থানীয়দের অভিযোগ, সাপ্তাহিক হাটে গোমাংস রান্না করে বিক্রি করছিলেন তিনি। আর সেই কারণেই জনতার ‘শাস্তি’র মুখে পড়তে হল তাঁকে। জল-কাদায় ভরা রাস্তার মধ্যে ওই ব্যক্তিকে ফেলে জিজ্ঞাসা করা হয়, তাঁর ব্যবসার লাইসেন্স আছে কিনা। অসমের নাগরিকপঞ্জির শংসাপত্র রয়েছে কিনা। তিনি বাংলাদেশি নন তো? কেন তিনি ভরা বাজারে গোমাংস বিক্রি করছেন ইত্যাদি ইত্যাদি। এখানেই শেষ নয়, শাস্তিস্বরূপ ওই মুসলিম ব্যক্তিকে প্যাকেট করে আনা শূকরের মাংস খাওয়ানোরও চেষ্টা করে উত্তেজিত জনতা। একদল লোকের হেনস্তার শিকার হয়ে গুরুতর চোটও পান শওকত আলি। স্থানীয় হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা হয়েছে বলে খবর।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সাহিত্যিক বনফুলের বাড়িতে বিউটি পার্লার! প্রোমোটিং ঠেকাতে মমতাকে ভরসা]

ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করেছেন শওকত আলির পরিবার। কাছার জেলার এসপি রাকেশ রোশন জানান, রবিবারের ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়ার পরই কাছারের বাসিন্দা শওকতের ভাই একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলেই খবর। তবে শওকত আলি একা নন, বাজার সামলানোর দায়িত্বে থাকা করণ থাপা নামের এক ব্যক্তিকেও ওই একই ক্ষুব্ধ জনতার রোষের মুখে পড়তে হয়। নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি ঘিরে নিন্দার ঝড় উঠেছে। শুধুমাত্র সন্দেহে ভর করে এতদিন ধরে ব্যবসা করা এক ব্যক্তির সঙ্গে কীভাবে এমন অমানবিক আচরণ করা যায়, সেই নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

উল্লেখ্য, অসম গবাদি পশু সুরক্ষা আইন, ১৯৫০ অনুযায়ী, কোনও গবাদি পশুকে হত্যা করার আগে স্থানীয় পশু চিকিৎসকের অনুমতি বাধ্যতামূলক। তিনি যদি লিখিত সম্মতি দেন, তবেই সেই পশুকে হত্যা করা যাবে। চিকিৎসকই বলে দেবেন, কোন গবাদি পশু হত্যার উপযুক্ত।

[আরও পড়ুন: বিজেপির ইস্তেহারে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির উল্লেখ, ‘আজাদি’র পক্ষে সুর চড়ালেন নেতারা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement