সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) আদিবাসী যুবকের মুখে প্রস্রাব করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হল এক ব্যক্তিকে। জানা গিয়েছে, তিনি পালিয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পালিয়ে বেড়ালেও মঙ্গলবার গভীর রাতে তাঁকে ধরতে সক্ষম হয় পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা রুজু হয়েছে।
মঙ্গলবার একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা গিয়েছে, একটি দোকানের সিঁড়িতে বসে রয়েছেন আদিবাসী এক যুবক। সেই সময় তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে প্যান্টের চেন খুলে তাঁর মুখে প্রস্রাব করতে থাকেন অভিযুক্ত প্রাভেশ শুক্ল। তাঁর হাতে ধরা ছিল সিগারেট। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে।
এরপরই গ্রেপ্তারি এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন তিনি। অবশেষে রাত দুটো নাগাদ তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জাতীয় নিরাপত্তা আইনের পাশাপাশি তপসিলি জাতি/ উপজাতি আইন এবং আরও নানা ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে তাঁকে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে অভিযুক্তের স্ত্রী ও মা-বাবাকেও।
এদিকে আক্রান্ত যুবক ৩৬ বছরের দাসমাত রাভাত পুলিশকে জানিয়েছেন, ভিডিওটি বানানো। এবং এই মর্মে তিনি নাকি হলফনামাও জমা দিতে ইচ্ছুক ছিলেন। যদিও সূত্রের দাবি, জোর করেই তাঁকে দিয়ে এমনটা বলানো হচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত এমন কোনও হলফনামা পুলিশের কাছে জমা পড়েনি।
শোনা গিয়েছিল, অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক কেদারনাথ শুক্লর প্রতিনিধি। বর্ষীয়ান নেতা কেদারনাথ সিধির দু’বারের বিধায়ক। তাঁরই ঘনিষ্ঠর বিরুদ্ধে এহেন ঘৃণ্য ও অমানবিক আচরণের অভিযোগে সোচ্চার বিরোধীরা। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেস নেতা কমল নাথ বলেছেন, ”এমন ঘৃণ্য ও নীচ আচরণের কোনও স্থান কোনও সুস্থ সমাজে নেই।”
যদিও পদ্ম শিবির এমন দাবি উড়িয়ে জানিয়ে দিয়েছে, ওই ব্যক্তির সঙ্গে বিজেপির কোনও সংস্রব নেই। কেদারনাথ বলেছেন, ”প্রাভেশ শুক্লর সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। উনি আমার প্রতিনিধি নন। তবে আমার বিধানসভা এলাকার লোক বলে পরিচয় রয়েছে।” রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এই ধরনের অপরাধের তীব্র নিন্দা করেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.