সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুড়ঙ্গের ভেতরটা ক্রমশ নরক হয়ে উঠছে! আলো-বাতাসহীন স্যাঁতস্যাঁতে অন্ধকার। ছ’দিন হয়ে গেল দমচাপা দুঃস্বপ্নে আটকে উত্তরকাশীর (Uttarkashi) ৪১ শ্রমিক। উদ্ধারকাজ অব্যাহত থাকলেও ওঁদের বাঁচার সম্ভাবনা ক্রমশ কমছে। জীবন-মৃত্যুর মাঝমাঝি সরু সুতোর উপর দাঁড়িয়ে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) বাসিন্দা বছর ২২-এর যুবক পুষ্করও। নিজের মৃত্যুর সম্ভাবনার কথা ভেবেই দাদাকে বিশেষ বার্তা দিলেন সুড়ঙ্গের ভিতর থেকে। কী সেই বার্তা?
উল্লেখ্য, সিল্কইয়ারা এবং দণ্ডলগাঁওয়ের মাঝে তৈরি হচ্ছিল উত্তরকাশীর ওই সুড়ঙ্গটি। রবিবার ভোরে সেখানে ধস নামে। টানেলটি সাড়ে চার কিলোমিটার লম্বা। তারই মধ্যে ১৫০ মিটার লম্বা এলাকা জুড়ে ধস নেমেছিল। খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান উত্তরকাশীর পুলিশ সুপার অর্পণ যদুবংশী। তাঁর তদারকিতেই শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, দমকল শুরু করে উদ্ধারকাজ।
[আরও পড়ুন: ‘রোহিতই নন, আর একজনও বিশ্বজয়ের ভাষণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন’, মোদিকে খোঁচা মহুয়ার!]
যদিও ছয় দিন পরেও ৪১ জন শ্রমিক সুড়ঙ্গের ভিতরে। ফের ধস নামায় বুধবার সকালে বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে উদ্ধারকাজ। যদিও পরে তা চালু হয়েছে। তথাপি ভিতরে আটকে থাকা শ্রমিকদের জন্য আশার আলোর দেখা মেলেনি। তাঁদের একজন পুষ্কর। পাইপ লাইনে পুষ্করের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান তাঁর দাদা বিক্রম সিং। দেখা গেল ভয়ংকর সুড়ঙ্গে আটকে থাকার পরেও নিজের কথা নয়, মাকে নিয়ে চিন্তিত পুষ্কর। বিধ্বস্ত কণ্ডে দাদাকে বলেন, ‘আমি আটকে আছি, মা-কে বোলো না।’ আরও জানান, আপাতত ঠিক আছেন। তবে সত্যিটা জানলে মা চিন্তা করবেন।
পুষ্কর-বিক্রমের বাড়ি উত্তরাখণ্ডে চম্পাওয়াত জেলার ছানি গোঠ গ্রাম। বড় ভাই বিক্রম সড়ক নির্মাণ সংস্থায় শ্রমিকের কাজ করেন। তিনি জানান, “ছোট বলেই ও মায়ের বেশি আদরের। স্বাস্থ্যের খোঁজটুকু নিতে পেরেছি শুধু।” যদিও বিক্রম জানিয়েছেন, মাকে তিনি কিছু না জানালেও প্রতিবেশীদের আলোচনায় সবটাই জেনে ফেলেছেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.