প্রতীকী ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: থানার অদূরেই দাউদাউ করে জ্বলছিলেন মহিলা! যা দেখে স্তম্ভিত হয়ে দৌড়ে আসছিলেন পুলিশকর্মীরা। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বছর বাইশের এক তরুণ, যার বিরুদ্ধে ওই মহিলার গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, সে নির্বিকার হয়ে ঘটনার ভিডিও করে রাখছিল নিজের মোবাইলে। ক্রমে জানা যায়, আক্রান্ত মহিলার নাম হেমলতা। আর তাঁর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া অভিযুক্ত আর কেউ নয়, তাঁরই গর্ভজাত সন্তান! এমনই এক ঘটনায় চাঞ্চল্য উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh)।
জানা গিয়েছে, শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল আলিগড়ের বাসিন্দা হেমলতার। দ্রুত তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখানেই মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ঘটনার মূল অভিযুক্ত হেমলতার ‘গুণধর’ পুত্র গৌরবকে। কিন্তু কেন এমন এক ঘৃণ্য অপরাধে নাম জড়াল অভিযুক্তর? নিজের মাকে এভাবে নৃশংস ভাবে হত্য়ায় কেন সে অভিযুক্ত?
পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে এর পিছনে রয়েছে জমি সংক্রান্ত বিবাদ। দুই পক্ষের মধ্যে একটি জমি ঘিরে বচসা শুরু হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় থানায় উভয়পক্ষই এসেছিল মিটমাট করতে। কিন্তু কোনও সমাধান মেলেনি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন হেমলতাও। তিনি প্রথমে সেখান থেকে চলে যান। পরে ফের তিনি থানায় আসেন। অভিযোগ, থানায় ঢোকার আগেই তাঁর উপরে হামলা করে গৌরব। পুলিশের চোখের সামনেই আগুন ধরিয়ে দেয় মায়ের গায়ে! হেমলতাকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে গিয়ে আহত হন পুলিশকর্মীরাও। তদন্তকারীরা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে গৌরবকে। এর পিছনে আর কোনও চক্রান্ত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.