ছবি : প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে মিলল অব্যাহতি। সুপ্রিম কোর্টের মহামাণ্য বিচারপতি জানিয়ে দিলেন, অভিযুক্তকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মুক্তি দেওয়া হোক। কিন্তু তবু যেন কোথাও আফশোস থেকে যাচ্ছে, বড্ড বেশি দেরি হয়ে গেল হয়তো। জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ১০টি বছর তো কারাগারের গারদের ওপারেই কেটে গেল জয় সিংয়ের। ভাই শ্যাম সিংকে অবশ্য দশ বছর জেলে থাকতে হয়নি তিনি জেলে রয়েছেন সাত বছর। তাতে কী, ১০ বছর পরে হলেও প্রমাণ হল যে, দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিল তাদেরই এক ভাইঝি।
ঘটনাটা ২০০১ সালের। ফরিদাবাদের এক নাবালিকা অভিযোগ করেছিল তাঁকে ধর্ষণ করেছে তাঁরই দুই কাকা। এমনকী ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে নাকি পঞ্চায়েত ডেকে মিটিয়ে নেওয়ারও নিদান দেওয়া হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক লেখালেখির পর আদালতের দ্বারস্থ হয় নাবালিকার মা। ফরিদাবাদ জেলা আদালত অবশ্য তাদের তোলা ধর্ষণের অভিযোগ নাকচ করে দেয়। নির্যাতিতার তরফে পালটা অভিযোগ তোলা হয় পাঞ্জাব হাই কোর্টে। হাই কোর্ট জেলা আদালতের রায় বাতিল করে দুই অভিযুক্ত জয় সিং এবং শ্যাম সিংকে ১০ বছরের হাজতবাসের সাজা শোনায়। জেলেই যেতে হয় দুই ভাইকে। পালটা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে অভিযুক্তরা।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, যে ধর্ষণের অভিযোগে দুই অভিযুক্ত এতগুলো বছর জেল খাটলেন তা হয়ইনি। অভিযোগকারীরা ধর্ষণের স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেনি। মেডিক্যাল রিপোর্টেও ধর্ষণের কোনও প্রমাণ মেলেনি। আদালতের পর্যবেক্ষণ, যে পরিস্থিতিতে ধর্ষণ হয়েছিল বলে দাবি করা হচ্ছে তা বাস্তবে কতটা সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আর যদি তা হয়েও থাকে তাহলে মেডিক্যাল রিপোর্টে তাঁর প্রমাণ মিলত। অভিযুক্তদের দাবি, তাঁরা ধর্ষণ করেননি। ভাইঝি অল্প বয়সে স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল বলে তাঁকে চড় মেরেছিলেন শুধু। প্রেমের খবর বাড়িতে জানিয়ে দেওয়ার প্রতিশোধ স্পৃহা থেকেই মিথ্যে অভিযোগ এনেছে মেয়েটি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.