সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইন করেও ঠেকানো যায়নি পণপ্রথা। পরম্পরার নামে এই প্রথা আজও হাজার হাজার মেয়ের জীবনভর যন্ত্রণার কারণ। বাবা পণ দিতে না পারলে খেসারত দিতে হয় মেয়েকে। উত্তরপ্রদেশ, বিহারের মতো রাজ্যে এখনও আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে পণ দেওয়া-নেওয়া। পণ দিতে না পারায় বধূহত্যার মতো ঘৃণ্য অপরাধের খবর প্রায়ই শিরোনামে আসে। কিন্তু এবার উত্তরপ্রদেশে যা ঘটল, তা আরও নিন্দনীয়। পণ না দেওয়ায় স্ত্রীর ছবি সোশ্যাল সাইটে দিয়ে অশালীনতার সীমা ছাড়াল এক যুবক।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের থুথিয়া গ্রামে। ওই গ্রামের যুবক পুনিতের বিয়ে হয় সম্প্রতি। পুনিতের বহুদিন ধরে বাইকের শখ। কিন্তু সে নিজে যা রোজগার করে, তা নিয়ে বাইক কিনে উঠতে পারেনি। তাই ইচ্ছে ছিল বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে বাইক নেবে সে। আর ওই এলাকায় পণ দেওয়া বা নেওয়াকে কেউ অপরাধ বলে গণ্য করে না। বরং বিয়ের অন্যতম রীতি বলেই ধরে নেয়। হয়তো সেই কারণেই পুনিতও মনের মধ্যে সাহস সঞ্চয় করতে পেরেছিল। কিন্তু কোনও কারণে তাঁর ইচ্ছা পূরণ হয়নি। পুনিতের শ্বশুরবাড়ি তাকে পণ দেয়নি। আর তারই প্রতিশোধ সে নেয় স্ত্রীয়ের থেকে।
অভিযোগ, বিয়েতে যৌতুক না দেওয়ায় বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীয়ের উপর অত্যাচার চালাত পুনিত। প্রায়ই মারধর করত স্ত্রীকে। স্ত্রী যেন তাঁর বাবাকে বলে পুনিতকে বাইক কিনে দেয়, তার জন্য চাপও দিত। কিন্তু পুনিতের এই অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি স্ত্রী। বরং পুনিতের অত্যাচারে তিনি বাপের বাড়ি চলে যান। আর এরপরই পুনিত ওই ঘৃণ্য কাজটি করেন। নিজের স্ত্রীয়ের ছবি ও ফোন নম্বর পোস্ট করেন সোশ্যাল সাইটে। সঙ্গে এও বলেন যদি ‘এই মহিলার’ সঙ্গে কথা বলতে চায় কেউ তবে তাকে টাকা খসাতে হবে। চাইলে ওই ব্যক্তি সঙ্গমের প্রস্তাব দিতে পারে।
এরপর থেকে পুনিতের স্ত্রী ক্রমাগত ফোন ও সেক্সের প্রস্তাব পেতে শুরু করেন। গোটা ঘটনা তাঁর কাছে পরিষ্কার হয়। তিলমাত্র দেরি না করে তিনি সাইবার সেলের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে পুনিতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আপাতত তার ঠাঁই হয়েছে শ্রীঘরে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.