সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়ের কিছু দিন পর হঠাৎই আশ্চর্যজনকভাবে নিরুদ্দেশ হয়ে যান স্ত্রী আমানা৷ সারা শহর তন্ন তন্ন করে খুঁজেও স্ত্রীর হদিশ পাননি হাতিম আনসারি৷ শেষে পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি৷ কিন্তু তাতেও সমস্যার সমাধান হয়নি৷ আমানাকে খুঁজে এনে দিতে পারেনি পুলিশও৷ আত্মীয় পরিজনরা ধরে নিয়েছিলেন, আমানা আর বেঁচে নেই৷ কিন্তু আনসারির মন এত তাড়াতাড়ি স্ত্রীকে মৃত বলে মেনে নিতে চায়নি৷ তাঁর বিশ্বাসের জোরের ফল মিলল বছর পাঁচেক পর৷ যখন জানতে পারলেন বেঁচে আছে তাঁর আমানা৷ আনন্দে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি৷ কিন্তু সেই আনন্দ দীর্ঘস্থায়ী হল না৷ খুঁজে পেয়েও আমানাকে কাছে পেলেন না আনসারি৷
বিহারের বখরি গ্রামের বাসিন্দা আনসারির সঙ্গে বেশ ধুমধাম করে বিয়ে হয়েছিল আমানার৷ বিয়ের কয়েকদিন পরই চাকরির খোঁজে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ফরিদাবাদে চলে আসেন আনসারি৷ সেখানে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরিও পেয়ে যান৷ স্ত্রীকে চোখে হারাতেন স্বামী৷ কিন্তু তিনি জানতেই পারেননি কখন অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন আমানা৷ সম্পর্ক এতটাই গভীর হয়ে উঠেছিল যে সকলের অজান্তে গাজিয়াবাদের সেই পুরুষের সঙ্গে পালিয়ে যান আমানা৷ তারপর থেকে স্ত্রীকে খোঁজা শুরু হয়৷ কিন্তু আনসারির সব চেষ্টাই বিফলে যায়৷ থানায় মিসিং ডায়েরিও করেছিলেন৷ লাভ হয়নি৷ উল্টে মেয়ে হারিয়ে যাওয়ার জন্য আনসারিকেই দায়ী করেন আমানার বাপের বাড়ির লোকজন৷ এমনকী এর জন্য আনসারি ও তাঁর পরিবারকে কয়েকদিন জেলেও কাটাতে হয়েছিল৷ তবে উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে ছাড়া পেয়ে যান তাঁরা৷
এত কিছুর পর স্ত্রীকে খুঁজে পাওয়ার আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন আনসারি৷ কিন্তু বছর পাঁচেক পর এক আত্মীয়ের কাছ থেকে সুখবরটা পেলেন৷ জানা গেল, উত্তরপ্রদেশের ফারুকখাবাদে আমানাকে দেখা গিয়েছে৷ প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেননি আনসারি৷ সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেন৷ কিন্তু সেখানে গিয়ে যা দেখলেন, তা তিনি হয়তো স্বপ্নেও দেখতে চাননি৷ এক পুরুষের সঙ্গে লিভ-ইন করেন আমানা৷ সাফ জানিয়ে দেন, আনসারির কাছে ফিরতে চান না তিনি৷
হতাশ হয়েই বাড়ি ফেরেন আনসারি৷ বাকি জীবনটা বিয়ের পরের ক’দিনের স্মৃতি নিয়েই কাটিয়ে দিতে চান এই ব্যর্থ প্রেমিক৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.