সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুন্ডা সম্প্রদায়ের ধর্মীয় আবেগের সঙ্গে জড়িত ‘পবিত্র গাছ’ কেটে ফেলার অভিযোগে ছিল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার উত্তেজিত জনতার গণপিটুনিতে (Lynched By Mob) মৃত্যু হল ওই ব্যক্তির। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের কোলেবিরা (Kolebira Police Station of Jharkahand) এলাকায়। অভিযোগ, ওই ব্যক্তিকে প্রথমে লাঠি ও ইট দিয়ে থেঁতলে মারে ১৫০ জন। পরে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয় দেহ। ঘটনায় পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত এফআইআর (FIR) দায়ের করেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে কোলেবিরা থানা এলাকায় গণপিটুনিতে মৃত ব্যক্তির নাম সঞ্জু প্রধান (Sanju Pradhan)। ধর্মীয় ভাবাবেগের সঙ্গে জড়িত গাছ কাটায় গতকাল প্রায় ১০০-১৫০ জন ঘিরে ধরে ওই ব্যক্তিকে। তাদের বেপরোয়া মারেই মৃত্যু হয় সঞ্জুর, এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ।
সিমদেগা জেলা পুলিশ জানিয়েছে, “ধর্মীয় কারণে ওই গাছটিকে মুন্ডা সম্প্রদায় পবিত্র বলে মনে করে। মৃত ব্যক্তি গত অক্টোবার মাসে ওই গাছটি কেটে ফেলে বলে অভিযোগ। তারপর থেকেই উত্তেজনা ছিল এলাকায়। মঙ্গলবার স্থানীয়রা ঠিক করে ওই ব্যক্তি ‘চরম শাস্তি’ দেওয়া হবে। এরপর উত্তেজিত ভিড় অভিযুক্তকে ঘিরে ধরে গণপিটুনি দেয়। তাতেই মৃত্যু হয় তাঁর।” এদিকে মৃতের পরিবার পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছে, প্রথমে সঞ্জুকে লাঠি ও ইট দিয়ে থেঁতলে মারা হয়। মরার পরেও তাঁকে ছাড়েনি ভিড়। দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয় আগুন লাগিয়ে।
সিমদেগা জেলার এসপি (SP) শামস তাবরেজ (Shams Tabrez) জানিয়েছেন, দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ওই ব্যক্তির জনতার মারে মৃত্যু হয়েছে নাকি আগুনে পুড়ে অটোপসির পর তা স্পষ্ট হবে। ইতিমধ্যে নির্দিষ্ট ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বর মাসেই ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় গণহিংসা প্রতিরোধ বিল, ২০২১ পাশ হয়েছিল। তারপরেও ঝাড়খণ্ডে এবার গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পাঞ্জাবের (Punjab) অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির (Golden Temple) অপবিত্র করার চেষ্টায় গণপিটুনিতে প্রাণ গিয়েছিল এক ব্যক্তির। পরে ওই রাজ্যের কাপুরথালাতেও (Kapurthala) একই রকমের ঘটনা ঘটে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.