সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কুড়ুলের তিন ঘায়ে জন্মদাত্রী মা’কে খুন করল ছেলে। তার পর মায়ের মৃতদেহের পাশে বসে তাঁর রক্ত পান করল সে। তন্ত্রবিদ্যায় সিদ্ধিলাভের আশায়!
লোমহর্ষক এই ঘটনা ঘটেছে ছত্তিশগড়ের কোরবায়। ২৭ বছরের ‘নরখাদক’ গুণধরটি অবশ্য বর্তমানে পলাতক। তবে তার আগে মায়ের দেহ টুকরো টুকরো করে আগুনে পুড়িয়ে দিয়ে গিয়েছে সে। দিলীপ যাদব নামে ওই ব্যক্তির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে আধপোড়া মাংসের অবশিষ্টাংশ, তন্ত্রসাধনার বইপত্র এবং তন্ত্রসাধনার নানাবিধ উপকরণ। দিলীপের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। সূত্রটা অবশ্য ধরিয়ে দিয়েছিলেন এক পড়শিই। নয়তো সম্ভবত দুনিয়ার গোচরে আসতই না ‘মানুষখেকো’ তন্ত্রসাধকের কীর্তিকলাপ। কোরবার অতিরিক্ত এসপি জয়প্রকাশ বধাই জানান, বৃহস্পতিবার রামকচর গ্রামের সমীরণ যাদব নামে এক মহিলা হঠাৎই তাঁদের থানায় এসে উপস্থিত হন এবং জানান, নিজের চোখে তিনি এক বীভৎস দৃশ্য দেখেছেন। তিনি এক ব্যক্তিকে তার নিজের মা’কে খুন করে তার রক্ত পান করতে দেখেছেন। সমীরণ জানান, গত ৩১ ডিসেম্বর সকালে, তিনি তাঁর এক পড়শি, সুমারিয়ার বাড়িতে যাচ্ছিলেন। বাড়ির কাছাকাছি আসতেই সেখান থেকে অদ্ভুত ধরনের গোঙানির আওয়াজ তাঁর কানে আসে। তারপরই তাঁর নজরে পড়ে বিভৎস দৃশ্য।
উল্লেখ্য, ছত্তিশগড়, ঝারখণ্ড ও মধ্যপ্রদেশের আদিবাসী এলাকায় এখনও কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাস রয়েছে। প্রায়ই ডাইনি অপবাদ দিয়ে নিরীহ মহিলাদের উপর চলে অত্যাচার। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। তবে এই ঘটনা আর পাঁচটি ঘটনাকে ছাপিয়ে নৃশংসতার নজির গড়ল।
[কলাগাছ থেকে সস্তায় ন্যাপকিন, অভিনব উদ্ভাবনে তাক লাগাল স্কুলপড়ুয়া]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.