সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের যোগীর (Yogi Adityanath) রাজ্যে ঘটল অমানবিক ঘটনা। ১৭ বছর বয়সী মেয়ের সঙ্গে এক যুবকের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কিন্তু সেই সম্পর্ক মানতে না পেরে মেয়েকে খুন করে বসল বাবা। শুধু তাই নয়, ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথা কেটে পুলিশ স্টেশনের উদ্দেশে হাঁটতেও থাকে সে। শেষপর্যন্ত অবশ্য খবর পেয়ে চলে আসেন পুলিশ আধিকারিকরা। তারপরই গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তকে।
Hardoi: Angered by his daughter’s alleged love affair, a man in Majhila area beheaded her. Police arrested him while he was walking towards the police station with his deceased daughter’s head.
“We are interrogating the man,” says Anurag Vats, SP Hardoi pic.twitter.com/5Vfh8fIIUY
— ANI UP (@ANINewsUP) March 3, 2021
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) হারদৌ জেলার একটি গ্রামে। বুধবার বিকেলে ওই নির্মম কাণ্ড ঘটায় অভিযুক্ত সর্বেশ কুমার। প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেয়েকে খুন করে সে। তারপর তার মাথা কেটে নির্লিপ্তভাবেই রাস্তা দিয়ে হেঁটে থানার উদ্দেশে যেতে থাকে। গ্রামের মানুষও ওই দৃশ্য দেখে অবাক হয়ে যান। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। এরপর দুই আধিকারিক ঘটনাস্থলে আসেন। তাঁরাও ওই দৃশ্য দেখে বিস্মিত। এরপরই ভিডিও করতে থাকেন ওই পুলিশ আধিকারিকরা। সর্বেশের ব্যাপারে খুঁটিনাটি তথ্য জানার চেষ্টা করেন। আর অভিযুক্তও সমস্ত প্রশ্নেরই উত্তর দেয়। জানায়, নিজেই মেয়েকে খুন করেছে। দেহ এখনও ঘরেই রয়েছে। আধিকারিকের কাছে সে বলে, “আমিই খুন করেছি। অন্য কেউ নেই। ঘরের দরজা বন্ধ রয়েছে। মেয়ের দেহও ঘরেই পড়ে আছে।”
এরপরই ওই পুলিশ আধিকারিকরা তাকে রাস্তার পাশে বসতে বলে। অভিযুক্ত কোনওরকম আপত্তি না জানিয়ে সেটাই করে। পরবর্তীতে আরও পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে এসে তাকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু বাবা হয়ে কেন এমন নৃশংস কাজ করল সর্বেশ? আসলে দীর্ঘদিন ধরেই এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তার মেয়ের। কিন্তু তাতে সায় ছিল না সর্বেশের। আর সেকারণেই রাগের মাথায় এই কাণ্ড ঘটিয়েছে ওই ব্যক্তি। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। বাবা হয়েও নিজের মেয়েকে এরকম নৃশংসভাবে কেউ খুন করতে পারে? সেই প্রশ্নও উঠছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.