Advertisement
Advertisement

প্রাণে বাঁচাতে ‘সুন্দরী’-কে ঘুম পাড়ানোর সিদ্ধান্ত বনদপ্তরের

‘আভনি’ মারা গিয়েছে, ‘সুন্দরী’-কে হারাতে চান না আধিকারিকরা৷

‘Man-eater’ Sundari tranquillised
Published by: Sayani Sen
  • Posted:November 7, 2018 12:16 pm
  • Updated:November 7, 2018 12:16 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মানুষখেকো’ সন্দেহে একের পর এক বাঘের প্রাণহানির ঘটনায় উদ্বিগ্ন বনদপ্তর৷ গুলিবিদ্ধ হয়ে সদ্যই প্রাণ হারিয়েছে ‘আভনি’৷ মানুষের উপর হামলা চালানোর অভিযোগে উত্তরপ্রদেশের খেরিতে গণপিটুনির পর ট্র্যাক্টর দিয়ে পিষে মেরে ফেলা হয়েছে আরও একটি বাঘিনীকে৷ দুটি ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ‘মানুষখেকো’ সুন্দরীকে ঘুমপাড়ানি গুলিতে নিরস্ত করলেন ওড়িশার সাতকোসিয়া ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রের বনাধিকারিকরা৷

[এবার বাঘিনীকে পিটিয়ে মারল গ্রামবাসীরাই, তদন্তের নির্দেশ বনদপ্তরের]

ওড়িশার সাতকোসিয়া ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রের আশেপাশেই ঘুরে বেড়াত ‘সুন্দরী’৷ ওই বাঘিনী হয়ে উঠেছিল এলাকার ত্রাস৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের রাতের ঘুম কেড়েছিল সে৷ বাসিন্দাদের দাবি, বহু মানুষের প্রাণ কেড়েছে ‘সুন্দরী’৷ তার ভয়ে বাড়ি থেকে বেরোনো তো দূরস্ত, ঘরের দরজা-জানালাও খুলতে পারছেন না গ্রামবাসীরা৷ আতঙ্কে দিন কাটছে তাঁদের৷ গ্রামবাসীদের ক্ষোভ বনদপ্তর এই বিষয় উদাসীন৷ বাঘিনীকে পরাস্ত করতে কোনও উদ্যোগই নাকি নেননি বন দপ্তরের আধিকারিকরা৷ এভাবে কার্যত গৃহবন্দি হয়ে কতদিনই বা বাঁচা যায়? তাই বাধ্য হয়ে দিন-রাতে ভাগ করে গ্রামবাসীরাই পাহারার বন্দোবস্ত করেন৷ মঙ্গলবার রাতেও গোটা গ্রাম ঘিরে রেখে পাহারা দেন তাঁরা৷  এরপরই নড়েচড়ে বসেন বনাধিকারিকরা৷ প্রায় সাতদিন ধরে বাঘিনীকে ধরার চেষ্টা করেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মীরা৷ ‘সুন্দরী’-কে ধরার জন্য একটি দল গঠন করা হয়৷ সাতকোসিয়া ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান সন্দীপ ত্রিপাঠির নেতৃত্বে ওই দলটিতে ছিলেন নন্দন কাননের ব্যাঘ্র বিশেষজ্ঞরাও৷ হাজারও চেষ্টার পর অবশেষে মঙ্গলবার রাতে সুন্দরীকে ঘুমপাড়ানি গুলি করেন তাঁরা৷ সাতকোসিয়া জঙ্গলের আশেপাশের একটি খালের কাছে ঘুমপাড়ানি গুলি মেরে অচেতন করা হয় ‘সুন্দরী’-কে৷ সাতকোসিয়া ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রের আধিকারিকরা জানান, প্রথমে ‘সুন্দরী’-র চিকিৎসা করানো হবে৷ সুস্থ হয়ে উঠলে সাতকোসিয়া ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রেই একটি এনক্লোজারে তার থাকার বন্দোবস্ত করা হবে৷ ওই এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে৷

Advertisement

[অবশেষে গুলিতে খুন ‘মানুষখেকো’ বাঘিনী আভনি, ক্ষুব্ধ পশুপ্রেমীরা]

এদিকে ‘আভনি’-র গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় উঠছে একাধিক প্রশ্ন৷ ঘুমপাড়ানি গুলি দিয়ে অচেতন না করে কেন তাকে হত্যা করা হল, সেই প্রশ্নবানে বিদ্ধ বনদপ্তর৷ এই ঘটনার পর ওড়িশার সাতকোসিয়া রেঞ্জের বনকর্তারা ‘সুন্দরী’-কে ধরপাকড়ের বিষয়ে অনেক বেশি সচেতন বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের৷ গ্রামবাসীদের ক্ষোভ দূর করতে ‘সুন্দরী’-কে ঘুমপাড়ানি গুলি দিয়ে অচেতন করে ফেলার সিদ্ধান্ত যথেষ্ট প্রশংসাযোগ্য বলেই দাবি পশুপ্রেমীদের৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement