ছবি: প্রতীকী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যোগীর রাজ্যের পর এবার খোদ প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যেই নির্যাতনের শিকার নাবালিকা। গুজরাটে ১২ বছরের বিশেষভাবে সক্ষম কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তারই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। শারীরিক নির্যাতনের প্রমাণ লোপাটের জন্য শেষ অবধি মেয়েটিকে খুন করে সে। যদিও ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ।
শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিল বনশকানথা জেলার দিশা শহরের বাসিন্দা ওই কিশোরী। শনিবার তার দ্বিখণ্ডিত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার কিশোরীকে বাইকে চড়িয়ে ঘুরতে নিয়ে যায় তার এক খুড়তুতো দাদা। তারপর থেকে সে আর ফেরেনি। মেয়ের খোঁজ না পেয়ে পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। শুরু হয় তদন্ত।
তদন্তে উঠে আসে এক নির্মম ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটিকে একটি নির্জন এলাকা নিয়ে গিয়ে শারীরিক অত্যাচার করে ওই বছর পঁচিশের যুবক। পরে প্রমাণ লোপাটের জন্য মেয়েটিকে কুপিয়ে খুন করে। দেহ থেকে মাথা আলাদা করে দেওয়া হয় মেয়েটির। মোতি নগরের নির্জন এলাকায় দেহটি লুকিয়ে সে চম্পট দেয়। শনিবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জেরায় ধৃত জানিয়েছে, কিশোরীর সঙ্গে যৌন সংসর্গের পরিকল্পনা অনেকদিন ধরেই করছিল সে। শুক্রবার সুযোগ মেলে। কিন্তু মেয়েটি বাধা দেওয়ায় নিজেকে বাঁচাতে ধর্ষণের পর খুন করে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে গুজরাট পুলিশের ডিএসপি কুশল ওঝা জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ১২ বছরের বিশেষভাবে সক্ষম কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। সেই ঘটনায় তাঁর খুড়তুতো ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে পুরো বিষয়টি জানা যাবে। তবে এই ঘটনায় গুজরাটের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল বলে মনে করছ ওয়াকিবহাল মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.