সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেমিকাকে খুন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল বছর একত্রিশের যুবক। মঙ্গলবার সেই ধারায় ইতি পড়ল। থানার অদূরেই এক টিভি চ্যানেলের অফিসে ঢুকে পড়ল সে। তারপর ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে কবুল করল কৃতকর্মের কথা। ওদিকে লাইভ টিভিতে তা দেখেই স্টুডিওয় ছুটল পুলিশ। ইন্টারভিউ থামিয়ে অভিযুক্ত মনিন্দর সিংকে গ্রেপ্তার করে আনা হল জেলে।
নতুন বছর তখনও পড়েনি। দিন দুই বাকি। তখনই প্রেমিকাকে খুন করে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে চণ্ডীগড়ে। তবে খুন-খারাপির সঙ্গে মনিন্দরের পরিচয় অবশ্য এই প্রথম নয়। এর আগেও ২০১০ সালে নিজের তৎকালীন প্রেমিকাকে খুন করেছিল এই যুবক। অকুস্থল ছিল কারনাল। চার বছর পর দোষী সাব্যস্ত হয় সে। পরে জামিনে মুক্তি পায়। এর কিছু সময় পরই তার সাক্ষাৎ হয় পেশায় নার্স, সরবজিৎ কৌরের সঙ্গে। পরিচয় থেকে প্রেম, প্রেম থেকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন দু’জনে। যদিও বিবাদ বাধে তখন, যখন অসবর্ণ বিয়ে মেনে নিতে অস্বীকার করে প্রেমিকার পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু ঠিক সেই কারণে সরবজিৎকে খুন করেনি মনিন্দর।
তবে? খুনের প্রকৃত কারণ সন্দেহ। মনিন্দরের সন্দেহ ছিল, সরবজিৎ পরকীয়ায় লিপ্ত এবং তাঁকে ঠকাচ্ছে। নিজের এক আত্মীয়ের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছে সে। তবে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক চ্যানেলে ঢুকে মঙ্গলবার যে ‘লাইভ ইন্টারভিউ’ মনিন্দর দিয়েছে, তাতে শোরগোল পড়ে যায়! মনিন্দর সেই লাইভ সাক্ষাৎকারে বললেন, ‘‘ছ’মাস ধরে সরবজিৎ আর আমার পরিবারের মধ্যে বিয়ে নিয়ে কথা হচ্ছিল। কিন্তু ওঁর পরিবার সমস্যা তৈরি করছিল। কখনও বলত, আমি ওদের জাতির নয়। আবার কখনও বা এই বলে বিয়ে এড়িয়ে যেত যে আমি সরকারি চাকরি করি না।’’
ক্যামেরার সামনে মনিন্দর আরও জানিয়েছে যে, গত ৩০ ডিসেম্বর সে এবং সরবজিৎ হোটেল স্কাই-তে ‘চেক ইন’ করে। হোটেলের ঘরে ফের প্রেমিকার সঙ্গে সেই বিয়ে নিয়েই কথা শুরু হয়, যা ক্রমে পরিণত হয় বচসায়। এর পরই রাগের মাথায় সরবজিৎকে সে খুন করে। ঘণ্টাখানেক পর বেরিয়ে যায়। এরপর ১ জানুয়ারি হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার হয় সরবজিতের গলার নলিকাটা নিথর দেহ। যদিও এর পর থেকে মনিন্দরের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। মঙ্গলবার টিভি চ্যানেলে ঢুকে নিজের অপরাধের কথা কবুল করতেই পুলিশের একটি দল সেখানে পৌঁছয়। ইন্টারভিউ তখনও চলছিল। তার মধ্যেই মনিন্দরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.