নিজস্ব চিত্র।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘আমি বেঁচে আছি।’ পোড়া দেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ‘মৃত’ ব্যক্তির কাছ থেকে ফোন পেল পরিবার। আর এই ঘটনায় রীতিমতো হতবাক গোটা গ্রাম। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) পূর্ব গোদাবরী জেলার রঙ্গমপেট মণ্ডলের বীরামপালেমে। ফোন পেয়ে তাঁর বাড়ির লোকজন এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না, কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল। তাই একটি জুতো আর মৃত্যুরহস্য যেন একটি থ্রিলার কাহিনি।
সংবাদ সংস্থার খবর, ওই ব্যক্তির নাম কেতামল্লা পুসাইয়া। তিনি একজন শস্য ব্যবসায়ী। রহস্যজনকভাবে শুক্রবার ধানখেত থেকে এক ব্যক্তির দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। গ্রামবাসীদের সন্দেহ, তাঁকে খুন করে দেহটি পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। দেহ উদ্ধারের পর তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। এরপরই ঘটে সেই চাঞ্চল্যকর ঘটনা। হঠাৎ করে ওই মৃত ব্যক্তির ফোন আসে। একটি অচেনা নম্বর থেকে বাড়িতে ফোন করে কেতামল্লা জানান, তিনি বেঁচে আছেন। সঙ্গে সঙ্গে পরিবার খবর দেয় পুলিশে। কোথায় তিনি রয়েছেন, তাও বলে দেন। পরিবারের লোকজন ওই ঠিকানায় ছুটে যায়। তখন তিনি ঘটনার কথা তাঁদের জানান।
পুলিশ যে তথ্য পেয়েছে, তা রীতিমতো চাঞ্চল্যকর। ‘মৃত’ কেতামল্লা জানিয়েছেন, তিনি যখন জমিতে ছিলেন, তখন দেখেন তিন যুবক একটি দেহ পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দিচ্ছে। তিনি ছুটে গিয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। ওই যুবকরা তাঁকে আক্রমণ করে। তাঁর জুতো জ্বলন্ত দেহের সামনে ফেলে তাঁকে একটি অটোয় তুলে অচেনা জায়গায় নিয়ে যায়। তাঁকে মারধর করে। তিনি জ্ঞান হারান। তাঁকে ফেলে চলে যায় যুবকরা। জ্ঞান ফিরলে এক পথচারীর কাছ থেকে ফোন নিয়ে বাড়িতে খবর দেন। তবে পোড়া দেহটি আসলে কার তা এখনও জানতে পারেনি পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.