Advertisement
Advertisement
মাথা কেটে খুন

মুণ্ডচ্ছেদের পর বালি খুঁড়ে চাপা, লাতেহারে ধৃত নাবালক-নাবালিকাকে খুনে অভিযুক্ত

মানসিক ভারসাম্যহীন অভিযুক্তকে চিকিৎসার জন্য ভরতি করা হয়েছে হাসপাতালে৷

Man arrested of beheading 2 children in Latehar, Jharkhand

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 13, 2019 2:21 pm
  • Updated:July 13, 2019 2:21 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দোকানে যাওয়া ছোট মেয়েটির সঙ্গে অভব্যতা করছিল বিক্রেতা৷ ঘটনাচক্রে সেইসময়ে সেখানে গিয়ে পৌঁছায় একটি ছেলে৷ দোকানির দুষ্কর্ম দেখে ফেলে৷ সেটাই ছিল অপরাধ৷ যার মাশুল গুনতে হল জীবন দিয়ে৷ ১০ বছরের নাবালিকা এবং ১১ বছরের ছেলেটির মুন্ডুচ্ছেদ করে বালির নিচে পুঁতে দেওয়া হল৷ ঘটনা ঝাড়খণ্ডের লাতেহারের৷ গ্রেপ্তার হয়েছে অভিযুক্ত৷

[আরও পড়ুন: তুঙ্গে চূড়ান্ত মুহূর্তের প্রস্তুতি, চাঁদে লাফাতে তৈরি ভারতের ‘ফ্যাট বয়’]

লাতেহারের সেমারহাট গ্রাম৷ বৃহ্স্পতিবার সেখানে বালির স্তূপ থেকে উদ্ধার হয়েছে দুই ছেলেমেয়ের মৃতদেহ৷ উদ্ধারের পর দেখা যায়, দু’জনেই মস্তকবিহীন৷ এরপরই নরবলি তত্ত্ব নিয়ে গুঞ্জন ওঠে গ্রামবাসীদের মধ্যে৷ কিন্তু ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে তদন্ত শুরু করে৷ তাতেই উঠে আসে প্রকৃত সত্য৷ লাতেহারের ডিজিপি বিপুল শুক্লা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে কালাজাদু বা নরবলির কোনও সম্পর্ক নেই৷ এটি একেবারে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড৷’

Advertisement

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের হাতে ধরা পড়ে বছর পঁয়ত্রিশের স্থানীয় এক দোকানি৷ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পরই স্পষ্ট হয় সব৷ আপাতত ধৃতকে সদর হাসপাতালে মনোরোগ বিভাগে ভরতি করানো হয়েছে৷ তার মানসিক ভারসাম্যহীনতা দেখা দেওয়ায় এই সিদ্ধান্ত পুলিশের৷ কিন্তু ঘটনা ঠিক কী? ডিজিপি বিপুল শুক্লা জানিয়েছেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তি একটি দোকান চালান৷ মেয়েটি তার দোকানে গিয়েছিল বুধবার রাতে৷ দোকানি তার সঙ্গে অশালীন আচরণ করছিল৷ সেইসময়ই ছেলেটি সেখানে পৌঁছে যায়৷ তখন দু’জনকে নিয়ে নিজের ঘরে যায় অভিযুক্ত৷ এরপর কুঠার দিয়ে দু’জনের মাথা কেটে ফেলে৷ অস্ত্রটিও উদ্ধার হয়েছে৷’

[আরও পড়ুন: খোলা ম্যানহোলে বিপদ, নিজে হাতে ঢেকে ‘সুপার হিরো’ পুলিশকর্মী]

গ্রেপ্তার করার পর জিজ্ঞাসাবাদের সময় ধৃত ব্যক্তি নিজের কুকর্মের কথা স্বীকার করেছে বলে দাবি পুলিশের৷ সেই সূত্র ধরেই গ্রামের দুটি পৃথক জায়গায় বালি খুঁড়ে উদ্ধার হয়েছে দু’জনের মৃতদেহ৷ তারপরই তার মানসিক স্থিতি নিয়ে প্রশ্ন জাগে তদন্তকারীদের মনে৷ আরও জেরার পর তাঁরা আরও অপরাধের কথা জানতে পারেন৷ ২০০৯ সালে নিজের ভাইপোকে খুনের অভিযোগে জেলে গিয়েছিল এই ব্যক্তি৷ পরে জামিনে মুক্ত হয়৷ তারপর থেকে তাঁর মানসিক স্থিতি খানিকটা নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ এসব শুনে তদন্তকারীরা সিদ্ধান্ত নেন, তার মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন৷ তাই সদর হাসপাতালে তাকে পাঠানো হয়৷ তবে ঘটনার অভিঘাতে রীতিমতো কম্পমান সেমারহাট গ্রাম৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement