সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বাংলাদেশের সাহায্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’৷ সংসদে দাঁড়িয়ে ঠিক এ ভাষাতেই মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ৷ লোকসভা নির্বাচনের সময় বাংলাদেশি অভিনেতাদের প্রচারে ব্যবহার করে তৃণমূল যে বিতর্কের মুখে পড়েছিল, এদিন সেই প্রসঙ্গও খুঁচিয়ে তোলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি৷ অভিযোগ করেন, এ রাজ্যকে ‘পশ্চিম বাংলাদেশ’ বানানোর চেষ্টা করছে শাসকদল৷
[ আরও পড়ুন: অর্থাভাবে ধুঁকছে বিএসএনএল, কর্মীদের বেতন দিতে কেন্দ্রের কাছে সাহায্যের আর্তি]
মঙ্গলবার সংসদে দাঁড়িয়ে একাধিক ইস্যুতে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন দিলীপ ঘোষ৷ অভিযোগ করেন, ‘‘বাংলাদেশ থেকে অভিনেতাদের এনে ভোটে প্রচার করিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ অনুপ্রবেশকারী-রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিচ্ছেন তিনি৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বাংলায় গেলে, তাঁদের বহিরাগত বলা হয়৷’’ মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে রাজ্য বিজেপি সভাপতি জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চান। কিন্তু ৪২টি আসন জিতে প্রধানমন্ত্রী হওয়া যায় না। মমতা সরকার নতুন যোজনা নিয়ে এসেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ক্ষমতায় আসতে চান তাঁরা। সেজন্যই নির্বাচনী প্রচারে বাংলাদেশ থেকে অভিনেতাদের নিয়ে আসা হয়েছে।
[ আরও পড়ুন: নবপরিণীতার বেশে সংসদে নুসরত, বাংলায় শপথ নিলেন মিমিও ]
এখানেই শেষ নয়, এদিন কাটমানি ইস্যুতেও সংসদে তৃণমূলকে একহাত নেন মেদিনীপুরের সাংসদ। মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে তিনি বলেন, “রাজ্যে এখন নতুন একটা জিনিসের উদ্ভব হয়েছে। সেটা হল কাটমানি।” তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের সমালোচনা করে দিলীপ ঘোষ জানান, কাটমানি ফেরতের জন্য নেতা-মন্ত্রীর বাড়ির সামনে জনগণ বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। খোদ মুখ্যমন্ত্রীই কাটমানি বন্ধের জন্য আইন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তৃণমূলে যে ভাঙন শুরু হয়েছে, তা যে আগামী দিনেও চলবে, এদিন ইঙ্গিতও দেন দিলীপ ঘোষ৷ জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার চালালেও, তাঁর দলের নেতা, মন্ত্রী, কাউন্সিলররা বিজেপিতে যোগ দিতে চাইছেন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনই হোক বা লোকসভা নির্বাচন অথবা ভোট পরবর্তী পর্ব, এ রাজ্যে বিজেপি কর্মীদের উপর পুলিশ ও শাসকদল অত্যাচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন দিলীপ ঘোষ৷ শাসকদলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘‘দেশের ৫৪২টি আসনে নির্বাচন হয়েছে৷ কিন্তু কেবলমাত্র এ রাজ্যের ৪২টি আসনেই হিংসার হয়েছে। রাজ্যে ভোটার থাকলেও, ভোট দেওয়ার অধিকার নেই। ইভিএম-এ হারলে ব্যালট ফেরানোর দাবি তুলছে, ব্যালটে হারলে নির্বাচনই বন্ধ করতে চাইছে।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.