শুভময় মণ্ডল, নয়াদিল্লি: দিল্লি সফরের দ্বিতীয় দিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক কর্মসূচি সে অর্থে নেই। বিকেলের দিকে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করার কথা আছে মুখ্যমন্ত্রীর। আপাতত যাবতীয় রাজনৈতিক জল্পনা সেই সাক্ষাৎকে ঘিরেই। বিকেল ৪ টে ১৫ নাগাদ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার সময় পেয়েছেন মমতা। তৃণমূল সূত্রের খবর, এটা শুধুমাত্র সৌজন্য সাক্ষাৎ। রাইসিনা হিলে যাওয়ার পিছনে কোনওরকম রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের জল্পনা অন্যরকম।
সম্প্রতি একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। এরাজ্যের ধরনা মঞ্চই হোক, বা দিল্লিতে কেজরিওয়ালের লোকতন্ত্র বাঁচাও সত্যাগ্রহের মঞ্চ, মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানানোর কোনও সুযোগই যেন ছাড়ছেন না তৃণমূলনেত্রী। মমতার অভিযোগ স্পষ্ট, মোদি সরকার সংবিধান বিরোধী, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী, স্বেচ্ছাচারী। বিরোধীদের দমন করতে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে যথেচ্ছভাবে ব্যবহার। সিবিআই, আরবিআইয়ের মতো স্বশাসিত সংস্থার উপর আক্রমণ। এবং সর্বোপরি বিচার ব্যবস্থার উপর কুঠারাঘাত। সম্প্রতি সমস্ত ইস্যুতেই কেন্দ্রকে তোপ দেগে চলেছেন মমতা। সর্বশেষ সংযোজন কলকাতা পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে সিবিআই হানা এবং মমতার ধরনা। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে নেহাতই সৌজন্য সাক্ষাতে যাবেন মমতা? বিশ্বাস করতে চাইছে না রাজধানীর রাজনৈতিক মহল। তাদের মতে, সৌজন্য সাক্ষাতের আড়ালে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে রামনাথ কোবিন্দের কাছে অভিযোগ জানিয়ে আসতে পারেন মমতা। কীভাবে বিরোধীদের ‘কণ্ঠরোধ’-এর চেষ্টা চলছে, তাও সবিস্তারে বলে আসতে পারেন মমতা। তবে এসবই জল্পনার স্তরে। সরকারিভাবে পুরোটাই সৌজন্য সাক্ষাতের আড়ালে মোড়া।
এমনিতে দিল্লিতে গেলে একবার রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়েই থাকেন মমতা। তাই, মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠরা বলছেন এই সাক্ষাতের মধ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য খুঁজতে যাওয়া বোকামি। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে কোনওরকম রাজনৈতিক কথাবার্তা বলবেন না মমতা। বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ, প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই বোঝা যাবে ঠিক কী নিয়ে কথা হয়েছে তাঁর আর রাষ্ট্রপতির মধ্যে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.