সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় ৬৭ দিনের লকডাউন শিথিল হয়ে দেশে এখন আনলক ওয়ান (Unlock1) পর্ব চলছে। দেখা যাচ্ছে, ঠিক এই সময়েই করোনা সংক্রমণের হার একেবারে ঊর্ধ্বমুখী। পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য দু’দফায় মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গল এবং বুধ – দু’দিন ধরে ভিডিও কনফারেন্সে চলবে আলোচনা। অথচ সেই আলোচনায় বক্তা হিসেবে নেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর নাম। প্রধানমন্ত্রী সচিবালয় সূত্রে খবর, বক্তাদের যে তালিকা তৈরি হয়েছে, তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নেই। রয়েছে অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নাম। ফলে ফের বাংলার বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে সরব রাজ্যের শাসকদল।
করোনা সংক্রমণ রুখতে গত ২৫ মার্চ থেকে দেশে লকডাউন ঘোষণা করে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেটা নিতান্তই কেন্দ্রের একক সিদ্ধান্ত ছিল। পরবর্তী সময়ে লকডাউনের মেয়াদবৃদ্ধি এবং গৃহবন্দি দশায় কীভাবে এগোবে দেশ, তা নিয়ে দফায় দফায় মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। অধিকাংশ বৈঠকেই বাংলার বক্তব্য পেশের সুযোগ মেলেনি বলে অভিযোগ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এনিয়ে অভিযোগের সুরে বলেছিলেন যে তিনি শুধুই শ্রোতার ভূমিকায় ছিলেন। দু, একটি বৈঠকে যতক্ষণ বলার সুযোগ পেয়েছিলেন, তাতেই অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী গোটা পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে খুঁটিনাটি তথ্য দিয়েছেন, আবেদনও রেখেছেন।
এবারও সেই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে। ১৭ তারিখ তামিলনাডু, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যের পাশাপাশি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করার কথা নরেন্দ্র মোদির। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের হাতে থাকা এই তালিকায় নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। অর্থাৎ এবারও তাঁকে শ্রোতার ভূমিকাতেই থাকতে হবে। তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং এনডিএ সরকারের শরিকদলগুলির মুখ্যমন্ত্রীদেরই বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক দিক থেকে বিরোধী বাংলা এভাবেই প্রত্যেকবার বঞ্চিত হচ্ছে। ১৭ তারিখের বৈঠকে বলার সুযোগ না পেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কতটা সক্রিয়ভাবে উপস্থিত থাকবেন, তা দেখার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.