সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকার প্রতারণা। সুযোগ বুঝে পগারপার। নীরব মোদির পলায়নে দেশ জুড়ে একটাই প্রশ্ন আরও এক বিজয় মালিয়া কীভাবে হাওয়া হয়ে গেল? দেশের ব্যাংকিং ক্ষেত্রে বৃহত্তম জালিয়াতি নিয়ে কেন্দ্র নীরব হওয়ায় ময়দানে নেমে পড়েছে বিরোধীরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুংকার, তৃণমূল এর শেষ দেখে ছাড়বে। টুইটারে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন রাহুল গান্ধী। সুর চড়িয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালও।
জঙ্গলমহল সফরে গিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বেলপাহাড়ির সভায় তাঁর সাফ কথা, পিএনবি কেলেঙ্কারির তদন্ত করতে হবে। তদন্ত না করা পর্যন্ত আমরা ছাড়ব না। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন এই কেলঙ্কারি কীভাবে হল? কে ১১,৫০০ কোটি টাকা ঋণ দিল? কে ঋণ নিয়ে গেল? পরপর প্রশ্নবাণের পর মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা ব্যাংকে সাধারণ মানুষের টাকা আর নিরাপদ নয়। তাঁর মতে নীরব মোদির ঘটনা বুঝিয়ে দিল এফআরডিআই বিল কতটা ভয়ংকর হতে পারে। কারণ এর ফলে অনেকেই ঋণ খেলাপ করে পালাবেন। আর দেউলিয়া হবে ব্যাংক। তাই অবিলম্বে এই বিল প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংযোজন, বিল ফেরাতে পরপর দুবার তিনি কেন্দ্রকে চিঠি পাঠিয়েছেন। দ্বিতীয় চিঠি আরও কড়া করে বিল ফেরানোর দাবি জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। নীরব ইস্যুতে প্যাঁচে পড়া কেন্দ্রেকে এই সুযোগ বিঁধেছেন রাহুল গান্ধী। সোশ্যাল মিডিয়ার কংগ্রেস সভাপতির সাফ কথা, কীভাবে ভারতকে লুট করা যায় তা দেখিয়েছেন নীরব মোদি। এরপর টুইটারে দুটি পয়েন্ট তুলে ধরে রাহুল বোঝানোর চেষ্টা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে নীরব মোদির যোগাযোগ কতটা গভীর পর্যায়ে। রাহুলের প্রথম অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরতে দেখা গিয়েছে ওই শিল্পপতিকে। তাঁর দ্বিতীয় অভিযোগ, সদ্য শেষ হওয়া দাভোস সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা গিয়েছে নীরব মোদিকে। এখানেই শেষ নয় আরও দুটি উদাহরণ তুলে রাহুল বুঝিয়ে দিয়েছেন দুজনের বোঝাপড়া রয়েছে। রাহুলের প্রথম যুক্তি হল ১২ হাজার কোটি টাকা চুরি করেছেন নীরব। আর দ্বিতীয় যুক্তি, বিজয় মালিয়ার মতো এমন লুটেরাদের দেশ ছাড়ার ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্র। রাহুলের ইঙ্গিতে স্পষ্ট মোদির মদতে উধাও হয়েছেন নীরব।
Guide to Looting India
by Nirav MODI1. Hug PM Modi
2. Be seen with him in DAVOSUse that clout to:
A. Steal 12,000Cr
B. Slip out of the country like Mallya, while the Govt looks the other way.— Office of RG (@OfficeOfRG) February 15, 2018
আর এই বিষয়টিতে প্রধানমন্ত্রীকে একহাত নিয়েছেন আম আদমি পার্টির নেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর টুইট, বিজেপির মদত ছাড়া বিজয় মালিয়া এবং নীরব কোনওভাবে দেশ ছাড়তে পারেন না।
Is it possible to believe that he or vijay mallya left the country without active connivance of BJP govt? https://t.co/6iMFf9VAkF
— Arvind Kejriwal (@ArvindKejriwal) February 15, 2018
[মেয়েদের বিয়ার পান নিয়ে মন্তব্যের অপব্যাখ্যা হচ্ছে, দাবি পারিকরের]
ললিতের পর নীরব। নামের শেষে আরও একটা মোদি। পদবীর মিল শুধু নয়, দু’জনের দেশ ছাড়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রর মদতের অভিযোগ তুলে হল্লা বাঁধিয়েছে বিরোধীরা। এমন এক পরিস্থিতি আশ্চর্যভাবে কেন্দ্র কুলুপ আঁটায় ধোঁয়াশা আরও বেড়েছে। সূত্রের খবর, এই বিপুল অঙ্কের অর্থ পিএনবিকে মেটাতে হতে পারে। কারণ ব্যাংক এসব ক্ষেত্রে এলওইউ (লেটার অফ আন্ডারটেকিং) ইস্যু করে। আর এই এলওইউ-র উপর ভিত্তি করে অভিযুক্তরা অন্যান্য ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা তোলে। দেনার দায় আদপে চাপবে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাংকের ঘাড়ে।
[প্রকাশ্যে প্রস্রাব রাজস্থানের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর, সোশ্যাল মিডিয়ায় একেবারে ছিছিক্কার]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.