Advertisement
Advertisement

Breaking News

ভারতরত্ন দেওয়া হোক মুখ্যমন্ত্রীকে, দাবিতে সরব তৃণমূল সাংসদ

সম্প্রীতি রক্ষায় নজির গড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷

Mamata Banerjee should awared Bharat Ratna
Published by: Tanujit Das
  • Posted:November 10, 2018 9:27 am
  • Updated:November 10, 2018 9:34 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনুরাগী ও দলের কর্মীদের কাছে তিনি ‘দিদি’ নামেই পরিচিত৷ তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের সাক্ষী থেকেছেন এরাজ্য থেকে শুরু করে আপামর দেশবাসী৷ ৩৪ বছরের বাম শাসনের বীজ উপড়ে ফেলে পশ্চিমবঙ্গে ‘মা-মাটি-মানুষ’-এর সরকার প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি৷ শাসনের সাত বছরের মধ্যে এরাজ্যের ভোলবদলে দেওয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন বা এখনও করে যাচ্ছেন৷ এহেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই এবার ভারতরত্ন পুরস্কার প্রদানের দাবি উঠল৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত করার দাবি জানালেন তাঁরই দলের সাংসদ ইদ্রিস আলি৷

[সেনার হাতে উঠল ‘বজ্র’, শত্রুর উপর আছড়ে পড়বে সাক্ষাৎ মৃত্যু]

Advertisement

 

ব্যতিক্রমী কাজ, যা সমাজের ও দেশের সাহায্যে লাগে, তার স্বীকৃতি স্বরূপ ভারতরত্ন সম্মান প্রদান করা হয়৷ আগে কেবলমাত্র শিল্পকলা, সাহিত্য, বিজ্ঞান ও সমাজসেবার ক্ষেত্রেই এই সম্মান প্রদান করা হত। বর্তমানে মানবিক প্রচেষ্টার যেকোনও ক্ষেত্রে এই সম্মান প্রদানের নিয়ম রয়েছে। এখনও পর্যন্ত শেষবার অর্থাৎ ২০১৫-তে ভারতরত্ন সম্মান পেয়েছেন শিক্ষাবিদ মদন মোহন মালব্য এবং দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্যাগ, আন্দোলন, প্রাণশক্তি, সর্বধর্মের মানুষকে কাছে টেনে নেওয়ার ক্ষমতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার চেষ্টার কারণেই তাঁকে এই সম্মান প্রদানের আবেদন করেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ৷ তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার বিভিন্ন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা, দলনেত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন৷ তবে এবার নজিরবিহীনভাবে ‘দিদি’র জন্য ভারতরত্নের আবেদন করে বসলেন ইদ্রিস আলি৷ যদিও তাঁর এই বক্তব্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পড়েছে রাজনৈতিক মহলে৷

[‘আর্বান নকশাল’ ইস্যুতে ছত্তিশগড়ে কংগ্রেসকে নজিরবিহীন আক্রমণ মোদির]

২০১১-তে ক্ষমতায় আসার পরেই রাজ্যের মেয়েদের জন্য তাঁর স্বপ্নের ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্প নিয়ে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ গত বছরই বিশ্বের ৬৩টি দেশকে পিছনে ফেলে রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে সেরার সেরা শিরোপা জিতে নেয় এই প্রকল্প৷ বিশ্বের ৫৫২টি নাগরিক পরিষেবা প্রকল্পের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রকল্প হিসাবে নির্বাচিত হয় মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের ‘কন্যাশ্রী প্রকল্প’। নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে রাষ্ট্রসংঘের অনুষ্ঠানেই তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় সেরার সম্মান৷ যা একজন বাঙালি তথা ভারতীয় হিসাবে প্রত্যেকের কাছে গর্বের বিষয়৷ এখানেই শেষ নয়, এরপর যুবশ্রী, স্বাস্থ্য সাথী, রূপশ্রী-র মতো একাধিক জনমোহিনী প্রকল্প রাজ্যের মানুষের সুবিধার্থে চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তাঁর লাভও পান ভোট বাক্সে৷ উনিশে আসছে ‘মহারণ’৷ লোকসভা নির্বাচনের আগে ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে তৃণমূলের ভোট বাক্সে থাবা বসিয়েছে বিজেপি৷ এমত পরিস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার বিষ বাষ্প ছড়ানোর অভিযোগে সরব মুখ্যমন্ত্রী৷ 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement