কিংশুক প্রামাণিক, শিলং: ভোটে জিতলেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার! এই প্রতিশ্রুতি দিয়েই মেঘালয়ে প্রচারাভিযান শুরু করতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংগঠনকে মজবুত করার উদ্দেশে সোমবারই উত্তর পূর্ব ভারতের পাহাড়ি রাজ্যে পৌঁচছেন মমতা ও অভিষেক। সে রাজ্যের আতিথেয়তায় মুগ্ধ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি আশাবাদী মেঘালয়ে তৃণমূলের সংগঠন নিয়েও। এ প্রসঙ্গে এদিন তিনি বললেন, ‘‘আমাদের যাত্রা শুরু হল। এই রাজ্য আগামী দিনে এক গৌরবোজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবে।’’
আগামী ২১ জানুয়ারি ৫০ বছর বয়স হবে উত্তরপূর্ব ভারতের এই রাজ্যের। ফেব্রুয়ারিতে বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্য গঠনের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষকে সামনে রেখে মঙ্গলবার থেকে কার্যত শুরু হয়ে যাচ্ছে প্রধান বিরোধী দল তৃণমূলের পরিবর্তনের প্রচার। যার সূচনা করবেন দলনেত্রী।
শুরুতে দ্বিমুখী চাল দিলেন মমতা। গত ২২ নভেম্বর অসম পুলিশের গুলিতে নিহত পাঁচ ও আহত দুই পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেবেন তিনি। এরপর কর্মিসভায় পাঁচ মহিলার হাতে প্রতীকী ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ দিয়ে তিনি বোঝাবেন মেঘালয় জিতলে বাংলার মতো সামাজিক প্রকল্প হবে উন্নয়নের হাতিয়ার।
প্রাক্তন কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমার সপার্ষদ যোগদানের পর খাসি জয়ন্তী গারো পাহাড়ে ঘাসফুলের যে চাষ চলছে তাতে কংগ্রেস আরও ভাঙতে পারে। ওদিকে বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে গিয়েছে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির। এই মুহূর্তে শাসক এনপিপির মূল চ্যালেঞ্জার তৃণমূল। তাদের বিধায়ক সংখ্যা ১১। এই সুযোগ নিতেই ত্রিপুরার মতো মমতার চোখ মেঘালয়ে। ঘর গোছানোর কাজটা এত দিন নীরবে করছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সবুজ খেতে আরও সার ঢালতেই সোমবার দুপুরে শিলং এসে পৌঁছলেন মমতা। সঙ্গী অভিষেক। দিল্লি বাদ দিলে এই প্রথম দুজনে ভিনরাজ্যে একসঙ্গে রাজনৈতিক সফরে।
প্রথমবার শিলংয়ে পা দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বিমানবন্দরে ট্র্যাডিশনাল পোশাক পরে ফুল দিয়ে তাঁকে বরণ করলেন মহিলারা। বাজল খাসি বাদ্য, বাঁশি। পতাকা হাতে প্রচুর তৃণমূল সমর্থক তাঁদের নেত্রীকে স্বাগত জানালেন। মমতাও তাঁর নিজস্ব কায়দায় মিশে গিয়েছেন মেঘের দেশের মানুষের সঙ্গে। বুঝিয়ে দিচ্ছেন, ‘আমি তোমাদেরই লোক’।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.