কৃষ্ণকুমার দাস: দ্বিতীয়বার কর্ণাটকের (Karnataka) মসনদে বসলেন বর্ষীয়ান সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah)। শনিবার বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে তাঁর সঙ্গে শপথ নিলেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার। শপথ অনুষ্ঠানে বিজেপি বিরোধী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও প্রতিনিধিরা আমন্ত্রিত ছিলেন। রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, কমল নাথ, ফারুক আবদুল্লাহ, অশোক গেহলটরা ছিলেন শপথ মঞ্চে। আর বাংলা থেকে শাসকদল তৃণমূলের তরফে উপস্থিত ছিলেন লোকসভায় তৃণমূলের উপ-দলনেতা তথা বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার (Kakoli Ghosh Dastidar)। তাঁর হাত দিয়েই কর্ণাটকের নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে শাল পাঠিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই উপহার সাদরে গ্রহণ করে মমতার খবর জানতে চাইলেন সিদ্দারামাইয়া।
দাক্ষিণাত্য থেকে বিজেপিকে পুরোপুরি মুছে দিয়ে কর্ণাটকের ক্ষমতা দখল করেছে কংগ্রেস (Congress)। চব্বিশের ভোটের আগে বিরোধী শিবিরে তা অক্সিজেন জুগিয়েছে নিঃসন্দেহে। নতুন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বর্ষীয়ান নেতা ও কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, উপ-মুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার। আর তাঁদের শপথ অনুষ্ঠানে বিরোধী শিবিরের নেতানেত্রীরা আমন্ত্রিত থাকবেন, সেটাই ছিল স্বাভাবিক। আমন্ত্রণ থাকলেও শনিবার বেঙ্গালুরুর অনুষ্ঠানে তিনি যেতে অপারগ, সে কথা আগেই জানিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর হয়ে প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তাঁর কাছেই মমতার খবরাখবর জানতে চাইলেন সিদ্দারামাইয়া।
বিজেপির হাত থেকে রাজ্যের ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়ার মতো বড় কৃতিত্ব। সেই সাফল্যের জন্য সিদ্দারামাইয়াকে শুভেচ্ছা জানিয়ে দলের প্রতিনিধি কাকলি ঘোষ দস্তিদারের হাতে শাল উপহার পাঠিয়েছিলেন। হলুদ কাঁথাস্টিচের শালটি কাকলি তাঁর হাতে তুলে দেন। সেই উপহার সাদরে গ্রহণ করে গায়ে জড়িয়েও নেন কর্ণাটকের নতুন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর সাংসদের কাছে তিনি জানতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশল সংবাদ। এতেই বোঝা গেল, দিল্লি হোক কিংবা দাক্ষিণাত্য, জাতীয় রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা ঠিক কতটা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.