Advertisement
Advertisement

Breaking News

Mallikarjun Kharge

ইস্তফা গ্রাহ্য নয়, শীতকালীন অধিবেশনে রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গেই 

রাজ্যসভার পদ থেকে দলীয় স্তরে পদত্যাগ করছিলেন খাড়গে, যুক্তি কংগ্রেসের।

Mallikarjun Kharge to lead opposition in parliament during winter session | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:November 12, 2022 7:54 pm
  • Updated:November 12, 2022 10:00 pm  

সোমনাথ রায়: প্রতিপক্ষ শশী থারুরকে (Shashi Tharoor) বিপুল ভোটে হারিয়ে কংগ্রেস সভাপতি হয়েছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge)। সংসদে আগামী শীতকালীন অধিবেশনে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা (Opposition Leader of Rajya Sabha) তিনিই থাকছেন। সভাপতি নির্বাচনের আগেভাগে চিন্তন শিবিরে এক নেতা এক পদ নিয়ে কথা হয়েছিল বটে। খাড়গে রাজ্যসভার পদ থেকে ইস্তফাও দেন। তথাপি সূত্রের খবর, খাড়গেই রাজ্যসভায় বিরোধী পক্ষের নেতৃত্বে থাকছেন।

এক জন নেতা একাধিক পদে থাকতে পারবেন না। রাজস্থানের উদয়পুরের চিন্তন শিবিরে (Chintan Shivir) সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কংগ্রেস (Congress)। এই নীতি মানতে না চাওয়ার জন্যই শেষ মুহূর্তে ভেস্তে গিয়েছিল রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের (Ashok Gehlot) কংগ্রেসে সাংগঠনিক নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া। ফলে কংগ্রেস সভাপতি হিসেব মনোনয়ন পেশ করার পরে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতার পদ থেকে ইস্তফা দেন খাড়গে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘প্রতিদিন ২-৩ কিলো করে গালি খাই আমি’, তেলেঙ্গানা সফরে আক্ষেপ মোদির]

এর পর ঘটে ইতিহাস। দু’দশক পর অ-গান্ধী সভাপতি পায় কংগ্রেস। প্রত্যাশামতো কংগ্রেসের (Congress) নতুন সভাপতি নির্বাচিত হন মল্লিকার্জুন খাড়গে। সভাপতি নির্বাচনে ‘হাই কম্যান্ডের প্রার্থী’ হিসাবে পরিচিত খাড়গে পান ৭৮৯৭টি ভোট। প্রতিপক্ষ শশী থারুর পান ১০৭২টি ভোট। অর্থাৎ ৬ হাজার ৮২৫ ভোটের ব্যবধানে জেতেন খাড়গে। এই অবস্থায় রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা হিসেবে অন্য মুখের খোঁজে ছিল কংগ্রেস। যদিও এদিন জানা গেল, অন্তত শীতকালীন অধিবেশনে নেতৃত্বে পরিবর্তন হচ্ছে না। মল্লিকার্জুন খাড়গেই নেতা। কিন্তু তিনি যে পদত্যাগ করেছিলেন?

[আরও পড়ুন: ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রায় ব্যস্ত, সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনেও যোগ দেবেন না রাহুল]

কংগ্রেসের বক্তব্য, দলীয় স্তরে পদত্যাগ করেছিলেন খাড়গে। সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠাননি। ফলে রাজ্যসভায় নেতৃত্ব দিতে আইনত আটকাচ্ছে না। কিন্তু এক নেতা এক পদের প্রস্তাবনার কী হবে? এই প্রশ্নের জবাবে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ (Jairam Ramesh) জানিয়েছেন, দলের সাংগঠনিক পদ আর সংসদীয় পদ এক নয়। এই যুক্তিতে কংগ্রেস সভাপতির রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা হওয়ায় আটকাচ্ছে না। রাজনৈতিক মহলের একাংশের বক্তব্য অবশ্য আলাদা। তারা বলছেন, সবখানে বিশ্বস্ত খাড়গেকে পদে রেখে দলের ব্যাটন হাতে রাখতে চাইছে রাহুল-সোনিয়া। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement