সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: সংসদীয় গণতন্ত্রে সরকার পক্ষের থেকেও বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত বিরোধীদের। এমনটাই দস্তুর। কিন্তু কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে একাধিকবার সংসদে বিরোধীদের বলতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কিছুদিন আগে বিদেশের মাটিতে বসে এই অভিযোগ তুলেছিলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এবার সংসদে দাঁড়িয়েই এই অভিযোগে সরব হলেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে।
আসলে, মঙ্গলবার রাজ্যসভায় মণিপুর (Manipur) ইস্যুতে যখন সরকার পক্ষ ও বিরোধী পক্ষের বিক্ষোভ চরমে, তখন বলতে দেওয়া হয় বিরোধী দলনেতা খাড়গেকে। কিন্তু খাড়গে যখনই বলতে ওঠেন তখনই আবার পালটা বলা শুরু করেন রাজ্যসভার দলনেতা পীযুষ গোয়েল। মণিপুর-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে বলতে গিয়ে বারবার বাধা পান খাড়গে। এমনকী, তাঁর মাইকও বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আর সেটা নিয়েই বুধবার উত্তাল হয় রাজ্যসভা (Rajya Sabha)।
ডিএমকের প্রবীণ সাংসদ তিরুচি শিবা (T Shiva) খাড়গের মাইক বন্ধ করা ইস্যুটি নিয়ে চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, “সদনে দলনেতা এবং বিরোধী দলনেতাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়, অন্তত তাঁরা যখন বলেন, বাকিদের শান্ত হয়ে শোনা উচিত। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। উলটে বিরোধী দলনেতার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।”
খাড়গে নিজেও ক্ষোভপ্রকাশ করেন। কংগ্রেস (Congress) সভাপতির বক্তব্য, এটা ব্যক্তিগতভাবে তাঁর অপমান। সেই সঙ্গে বিরোধী দলনেতার চেয়ারের অপমান। খাড়গে বলেন,”আমি নিজের ইস্যুগুলি সদনের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছিলাম। আমাকে বলতে দেওয়া হয়নি, সেটা মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু যখন আমি বলছি, তখন এভাবে আমার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হল! সংসদে বলাটা আমার অধিকার। এটা আমার অধিকারে ধাক্কা। আমাকে অপমান করা হয়েছে। আমার আত্মসম্মানে আঘাত করা হয়েছে। এভাবে সরকারের ইশারায় যদি রাজ্যসভা চলে, তাহলে বুঝতে হবে গণতন্ত্র নেই।” যদিও চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankar) দাবি করেছেন, বিরোধী দলনেতার মাইক বন্ধ করা হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.