সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বড়সড় ধাক্কা খেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের প্রকল্প ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হালকা যুদ্ধবিমান ‘তেজস’ বা ‘অর্জুন’ ট্যাঙ্কে আস্থা রাখতে পারছে না ভারতীয় সেনাবাহিনী।
সেনা সূত্রে খবর, যুদ্ধের জন্য তেজস ও অর্জুন ট্যাঙ্কের একটিও তৈরি নয়। শুধু তাই নয় শত্রুপক্ষের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের সামনে টিকতেই পারবে না তেজস। একই দশা হবে অর্জুন-এরও। অস্ত্রের ঘাটতি মেটাতে তাই বিদেশ থেকেই বিমান ও ট্যাঙ্ক আমদানি করতে চাইছে সেনাবাহিনী। গত সপ্তাহেই প্রায় ১,৭০০টি অত্যাধুনিক নেক্সট জেনারেশন ব্যাটল ট্যাঙ্কের জন্য প্রাথমিকভাবে টেন্ডার জারি করেছে স্থলসেনা। এবার একই পথে হাঁটতে চলেছে বায়ুসেনাও। প্রায় ১২৪টি যুদ্ধবিমানের জন্য আন্তর্জাতিক অস্ত্র নির্মাতাদের কাছ থেকে দরপত্র চাইবে বায়ুসেনা।
[আইইডি বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল মণিপুর, শহিদ ২ জওয়ান]
এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সঙ্গে ভারতীয় অস্ত্র নির্মাতাদের যৌথভাবে সামরিক সরঞ্জাম তৈরির প্রকল্পে সমর্থন জানাচ্ছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এই প্রকল্পের অন্তর্গত মাহিন্দ্রা, টাটা গ্রুপের মতো দেশি সংস্থাগুলির সঙ্গে কাজ করবে লকহিড মার্টিন ও বোয়িং-এর মতো অস্ত্র নির্মাতারা। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রযুক্তি হস্তান্তর হবে বলেও আশাবাদী কেন্দ্র। তবে লাল ফিতের জট ও অত্যাবশ্যক অস্ত্রের টানাটানির দিকে নজর রেখে বিদেশ থেকেই অস্ত্র আমদানির পক্ষে মত সেনার শীর্ষ কর্তাদের।
কেন ‘তেজস’ ও ‘অর্জুন’-এ আস্থা নেই সেনার?
বায়ুসেনার দাবি, সুইডেনের গ্রিপেন বা মার্কিন এফ-১৬ বিমানের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে তেজস। মাত্র ৫৯ মিনিট যুদ্ধ করতে পারে এই বিমান। তুলনায় প্রায় ৩ থেকে ৪ ঘন্টা লড়তে সক্ষম গ্রিপেন ও এফ-১৬ । তেজসের ৩ টনের সঙ্গে তুলনায় ৬ থেকে ৭ টন বোমা বহন করতে পারে গ্রিপেন ও এফ-১৬। এছাড়া ওই বিমানগুলির তুলনায় তেজসের রেঞ্জ প্রায় অর্ধেক। তাই সন্মুখ সমরে প্রতিপক্ষের সামনে তেজস আদতে টিকে পারবে কি না, তা নিয়ে রয়েছে সংশয়।
ভারতের মূল ব্যাটেল ট্যাঙ্ক অর্জুন নিয়েও অসন্তুষ্ট স্থলসেনা। বিশেষজ্ঞদের দাবি, প্রায় ৬৭ টনের ওই ট্যাঙ্ক স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি ভারী। তাই সেটি কোনও ব্রিজ পেরোতে অসমর্থ। ফলে পাঞ্জাব ও কাশ্মীরে কার্যত অক্ষম ওই ট্যাঙ্ক। এছাড়াও ট্যাঙ্কটির কামানে সমস্যা রয়েছে। রুশ নির্মিত টি-৯০ ট্যাঙ্কের উপরই ভরসা রাখছে সেনা। সবমিলিয়ে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারতের এখনই স্বনির্ভর হওয়ার স্বপ্ন অধরাই থাকল।
[হাফিজকে নিকেশ করতে পারে ‘র’, পাকিস্তানের আতঙ্কে উৎফুল্ল খুরশিদ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.