সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির দ্বিতীয় মামালায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে আপাতত গারদের ওপারে লালুপ্রসাদ যাদব। এদিকে মকর সংক্রান্তি উৎসবে চারিদিকে। তা আরজেডি সুপ্রিমও বা তা থেকে বঞ্চিত হবেন কেন। তাই দহি-চুড়া নিয়ে অনুরাগীরাই পৌঁছে গেলেন বিরসা মুণ্ডা জেলে।
[ জেলে মালির কাজ পেলেন লালু, দৈনিক আয় ৯৩ টাকা ]
অভিযুক্ত হওয়ার পরই বেশ কয়েকদিন জেলে ছিলেন। সে সময়ও পোড় খাওয়া এই রাজনীতিকের বাহানার অন্ত ছিল না। বিচারকের সামনে দাঁড়িয়ে বলেন, জেলে ভীষণ ঠাণ্ডা লাগছে। বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারকও মজা করে বলেন, তাহলে আর কী করবেন, বরং তবলা বাজিয়ে গা গরম করুন। দিন দুয়েক ধরে সাজা ঘোষণা মুলতুবি থাকে। আদালত চত্বরে বেদম বিশৃঙ্খলার সম্ভাবনাও দেখা দেয়। শেষমেশ ভিডিও কনফারেন্স মারফত সাজা ঘোষণা করা হয়। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির দ্বিতীয় মামলায় সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড হয় লালুর। জেলে মালির কাজ পেয়েছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দৈনিক উপার্জন নব্বই টাকার কিছু বেশি।
[ সাপের মুখে অনায়াসে চুমু, তাক লাগাচ্ছে এই যুবকের কীর্তি ]
এভাবেই আপাতত দিন কাটছে। এর মধ্যেই আবার ঘিরে ধরেছে নকশাল কাঁটা। হাজারিবাগে মুক্ত কারাগারে তাঁকে থাকার কথা বলেছিলেন বিচারকরা। কিন্তু রাজি হননি লালু। কেননা মুক্ত কারাগারে নকশালরা থাকে। তিনি ও রাবড়ি দেবী ক্ষমতায় থাকাকালীন নকশাল দমনে সক্রিয় হয়েছিলেন। এখন সুযোগ বুঝে সেই শোধ নিতে পারে বন্দি নকশালরা। এই ভয়েই মুক্ত কারাগারের যেতে ঘোর নারাজ ছিলেন তিনি। এই সবের মধ্যেই এসে পড়েছে মকর সংক্রান্তি উৎসব। কোথাওবা তার পোঙ্গল নাম। কোথাওবা একটু অন্য নামে লোহরি হিসেবে পালিত হচ্ছে। লালুর পরিবারে অবশ্য এবার উৎসবের রেশ ফিকে। কিন্তু তাতে অনুগামীদের আবেগে অবশ্য লাগাম টানা যায়নি। হাঁড়ি ভরতি ‘দহি-চুড়া’ নিয়ে তাঁরা পৌঁছে গিয়েছেন বিরসা মুণ্ডা জেলে।
Ranchi: Supporters of Lalu Prasad Yadav arrive at Birsa Munda Jail with ‘Dahi chuda’ for the RJD chief. #MakarSankranti pic.twitter.com/w3Y9TRwimq
— ANI (@ANI) January 14, 2018
কেলেঙ্কারি হোক আর জেল, জননেতার জনপ্রিয়তায় যে ভাটা পড়েনি ফের একবার যেন তা প্রমাণিত হল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.