সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) ডিগ্রি নিয়ে পুরনো বিতর্ক খুঁচিয়ে তুলেছে আম আদমি পার্টি। মোদির ডিগ্রির নথি দেখতে চেয়ে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা গোনার পর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) নয়া স্লোগান তৈরি করেছেন, শিক্ষিত প্রধানমন্ত্রী চাই। বিরোধীরা বলছে, ভারতের মতো দেশে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষিত না হলে চলে না। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করল অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমক্র্যাটিক রিফর্মস বা ADR।
ADR-এর রিপোর্ট বলছে, দেশের অধিকাংশ মুখ্যমন্ত্রীই উচ্চশিক্ষিত। এবং রাজনীতির বাইরে অন্যান্য পেশায় কাজ করার যোগ্য। ওই সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের ৩০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে ৩০ শতাংশ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট অর্থাৎ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি আছে। ৩৭ শতাংশ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন তাঁরা গ্র্যাজুয়েট। ১৪ শতাংশ মুখ্যমন্ত্রী গ্র্যাজুয়েট প্রফেশনাল, অর্থাৎ স্নাতক স্তরের পড়াশোনার পাশাপাশি পেশাদার ডিগ্রিও আছে তাঁর। মাত্র ১০ শতাংশ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন তাঁরা দ্বাদশ শ্রেণি পাশ।
এই মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে অনেকে উচ্চশিক্ষিত। এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) যেমন স্নাতকোত্তরের পাশাপাশি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রিও রয়েছে। আবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) আবার আইআইটি থেকে পড়াশোনা করেছেন। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বিজেপি শাসিত ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা নামী চিকিৎসক। আবার শিবরাজ সিং চৌহান দর্শনশাস্ত্রে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত।
অর্থাৎ, দেশের অধিকাংশ মুখ্যমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতাই প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে বেশি। যদিও রাজনীতি বা প্রশাসন চালানোর ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা কতটা গুরুত্ব রাখে তা নিয়ে সংশয় আছে ওয়াকিবহাল মহলে। দিন কয়েক আগে খোদ এনসিপি (NCP) সুপ্রিমো শরদ পওয়ার বলছিলেন, কারও শিক্ষাগত যোগ্যতা রাজনীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.