Advertisement
Advertisement

গত দু’দশকে যে সব ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলা কাঁপিয়ে দিয়েছিল ভারতকে

সে রক্তাক্ত স্মৃতি আজও ক্ষুব্ধ করে দেশবাসীকে।

Major terror attacks on security forces
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:February 15, 2019 12:55 pm
  • Updated:February 15, 2019 12:55 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জইশ-ই-মহম্মদের ভয়াবহ হামলায় বৃহস্পতিবার কেঁপে ওঠে কাশ্মীরের পুলওয়ামা। সন্ত্রাস হানায় শহিদ হন ৪৪ জন সিআরপিএফ জওয়ান। ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। স্বাধীন ভারতে কাশ্মীরে এটাই সবচেয়ে বড় জঙ্গিহানা। তবে এই প্রথমবার নয়, এর আগেও বহুবার সন্ত্রাসের চোখ রাঙানির মুখে পড়তে হয়েছে এ দেশকে। জম্মু ও কাশ্মীরে বিস্ফোরণ ও বন্দুকের গুলিতে রক্তে ভিজেছে দেশের মাটি। এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হল গত দু’শকের এমনই কিছু রক্তাক্ত দিনের কথা। যা স্মরণ করে আজও রক্ত গরম হয়ে ওঠে দেশবাসীর।

২৬ আগস্ট ২০১৭: পুলওয়ামার জেলা পুলিশ লাইনে হানা দেয় তিন জইশ জঙ্গি। ঘটনায় নিহত হন আটজন সেনা। পালটা গুলির লড়াইয়ে খতম হয় তিন জঙ্গিই।
২৯ নভেম্বর ২০১৬: জম্মুর নাগরোটায় সেনা ঘাঁটিতে হামলা করে জঙ্গিরা। শহিদ হন সাত জওয়ান। পরে নিকেশ করা হয় তিন হামলাকারীকেই।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬: চার পাক জঙ্গির হামলার কেঁপে উঠেছিল বারামুলা জেলার উরির সেনা ঘাঁটি। ভোরবেলা সেনা ছাউনিতে ঢুকে পড়ে জঙ্গিরা। ১৮ জন জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন সেই ঘটনায়। যাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই সে সময় ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। সেই হামলার পরও জঙ্গিদের নিকেশ করতে সফল হয সেনা। আর সেই ঘটনার পরই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সার্জিক্য়াল স্ট্রাইক করে ভারতীয় সেনা।
২৫ জুন ২০১৬: পাম্পোরে শ্রীনগর-জম্মু জাতীয় সড়কে সিআরপিএফ বাসের উপর অতর্কিতে গুলি বর্ষণ করতে থাকে সন্ত্রাসবাদীরা। নিহত হন আট জওয়ান।

Advertisement

[কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় শহিদ হাওড়ার জওয়ান, বাড়ি ফিরছে কফিনবন্দি দেহ]

৩ জুন ২০১৬: পাম্পোরেই সিআরপিএফ বাসে হামলা চালায় জঙ্গিরা। মৃত্যু হয় দুই জওয়ানের। তারপরই একটি সরকারি বিল্ডিংয়ের দখল নেয় জঙ্গিরা। দীর্ঘ দুদিন চলে গুলির লড়াই। শহিদ হন আরও তিন সেনা। প্রাণ হারান এক সাধারণ নাগরিক। দুই জঙ্গিকে নিকেশ করেন জওয়ানরা।
৫ ডিসেম্বর ২০১৪: উরির মোহরায় এক সেনা ঘাঁটি শক্তিশালী অস্ত্র নিয়ে হামলা করে জঙ্গিরা। প্রাণ হারান দশজন জওয়ান। হামলাকারীদের প্রত্যেককেই খতম করা হয়।
২৪ জুন ২০১৩: শ্রীনগরের হায়দারপোরায় একটি সেনা বাসে হামলা চালায় জঙ্গিরা। সেসময় জওয়ানদের কাছে কোনও অস্ত্র ছিল না। ঘটনায় শহিদ হন আট সেনা।
১৯ জুলাই ২০০৮: নার্বালের কাছে শ্রীনগর-বারামুলা হাইওয়েতেই আইইডি বিস্ফোরণে নিহত হন দশজন সেনা।
২ নভেম্বর ২০০৫: নৌগামে ততকালীন মুখ্যমন্ত্রী মুফতি মহম্মদ সৈয়দের বাড়ির কাছে ফিদায়েঁ হামলায় মারা যান তিনজন পুলিশ এবং ছয়জন সাধারণ নাগরিক।
২০ জুলাই ২০০৫: সেনাদের কনভয় লক্ষ্য করে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় এক আত্মঘাতী জঙ্গি। নিহত হন তিন জওয়ান এবং দুই সাধারণ নাগরিক।
২৪ জুন ২০০৫: শ্রীনগর থেকে কিছু দূরে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে শহিদ হন নয় ভারতীয় সেনা।
৪ আগস্ট ২০০৪: শ্রীনগরের রাজবাগে সিআরপিএফ ক্যাম্পে হামলা করে জঙ্গিরা। নিহত হন ন’জন জওয়ান। পালটা গুলির লড়াইয়ে নিকেশ হয় এক জঙ্গি।
৮ এপ্রিল ২০০৪: শ্রীনগর-মুজাফ্ফরবার রাস্তা খোলার দাবিতে উরিতে পিডিপি মিছিলে গ্রেনেড হামলায় ১১ জনের মৃত্যু হয়।
২২ জুলাই ২০০৩: আখনুরে এক ব্রিগেডিয়ার-সহ আটজন সেনা নিহত হন জঙ্গি হানায়। বহু আধিকারিক গুরুতর জখম হয়েছিলেন।
২৮ জুন ২০০৩: সুজওয়ান সেনা ঘাঁটিতে সন্ত্রাস হামলায় শহিদ হন এক আধিকারিক-সহ ১২ জন সেনা। দুই জঙ্গিকে খতম করতে সফল হন জওয়ানরা।

[সন্ত্রাস মোকাবিলায় সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা, যোগ্য জবাবের হুঁশিয়ারি মোদির]

১৪ মে ২০০২: জম্মু কালুচক সেনা ক্যান্টনমেন্টে তিন জঙ্গির হামলায় ৩৬ জন জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। পরে তিন জঙ্গিকেই শেষ করে সেনা।
১৭ নভেম্বর ২০০১: রামবান সেনা ঘাঁটিতে হানা দিয়ে ১০ জওয়ানের প্রাণ নেয় জঙ্গিরা। জবাবে মৃত্যু হয় চার হামলাকারীর।
১ অক্টোবর ২০০১: শ্রীনগরে বিধানসভা ভবনের কাছে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে ৩৮ জন সেনা শহিদ হন। পালটা লড়াইয়ে শেষ হয় তিন জঙ্গি।
১০ আগস্ট ২০০০: শ্রীনগরের রেসিডেন্সি রোডে গ্রেনেড হামলার ছক কষে জঙ্গিরা। খবর পেয়ে সেখানে সেনারা হাজির হতেই একটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। যাতে প্রাণ হারান ১১ জন। মৃত্যু হয় এক চিত্রসাংবাদিকেরও।
১৯ এপ্রিল ২০০০: কাশ্মীরে সেবারই প্রথম ফিদায়েঁ হামলা হয়। শ্রীনগরের বাদামিবাগ এলাকায় সেনা হেডকোয়ার্টারে বোমা হামলায় শহিদ হন দুই জওয়ান।
৩ নভেম্বর ১৯৯৯: বাদামিবাগের সেনা হেডকোয়ার্টারে জঙ্গি হামলায় ১০ জন সেনার মৃত্যু হয়। যাঁদের মধ্যে ছিলেন ডিফেন্স পাবলিক রিলেশন অফিসার মনোজ পুরোষত্তম।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement