Advertisement
Advertisement

Breaking News

Uttar Pradesh

মহাকুম্ভে সন্ত্রাসের ছায়া! ‘মাছিও গলতে দেব না’, আশ্বাস যোগীর

জোর দেওয়া হচ্ছে সাইবার নিরাপত্তার উপরেও।

Major security arrangement established in maha kumbh by uttar pradesh government
Published by: Hemant Maithil
  • Posted:January 2, 2025 10:33 am
  • Updated:January 4, 2025 12:18 pm  

হেমন্ত মৈথিল, লখনউ: মহাকুম্ভে সন্ত্রাসের ছায়া! সাধুর ছদ্মবেশেও জঙ্গিরা হানা দিতে পারে মেলায়। কিন্তু সেই ছক ভেস্তে দিতে প্রস্তুত উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। মহাকুম্ভে মাছিও গলতে না দেওয়ার পণ করেছেন সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। স্থল, জল, আকাশ- তিন জায়গা থেকেই চালানো হবে কড়া নজরদারি। বসানো হচ্ছে ‘অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম’। পাশাপাশি জোর দেওয়া হচ্ছে সাইবার নিরাপত্তার উপরেও। যাতে কোনও দিক দিয়েই ফাঁক গলে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। এভাবেই মেলা প্রাঙ্গনে নিরাপত্তার বজ্রআঁটুনি এঁটেছে যোগী সরকার। 

আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে ভারতে হিন্দু পুণ্যার্থীদের সবচেয়ে বড় সমাবেশ। প্রয়াগরাজে গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে ৪০ কোটি পুণ্যার্থীর জন্য গড়ে তোলা হচ্ছে এক অস্থায়ী নগরী। ১৫ বর্গমাইল এলাকায় গড়ে তোলা সেই অস্থায়ী নগরীর আয়তন নিউইয়র্ক নগরের ম্যানহাটান বরো এলাকার দুই–তৃতীয়াংশ। কিন্তু এই মহাকুম্ভে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা রয়েছে। তাই কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ যোগী সরকার। জানা গিয়েছে, মেলা প্রাঙ্গনে নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করা হচ্ছে। জল-স্থল-আকাশপথে চলবে কড়া নজরদারি। এছাড়া মোতায়েন করা হবে ড্রোন বিধ্বংসী সিস্টেম। সম্ভাবনা হয়েছে সাইবার হানারও। তাই মুখ্যমন্ত্রী যোগীর নির্দেশে সাইবার নিরাপত্তার জন্য বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে।

Advertisement

ইতিমধ্যেই গোয়েন্দা তথ্য জোরদার করার জন্য মেলা সংলগ্ন রাস্তার বিভিন্ন বিক্রেতা, রিকশা চালকদের পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। আখড়া, মহামন্ডলেশ্বর, খালসা, ডান্ডিবারা, খাকচৌক এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্য জমি বরাদ্দও সম্পন্ন হয়েছে। যোগী কড়া নির্দেশ দিয়েছেন, মেলায় সাধুদের যথাযথ সম্মান জানাতে হবে। প্রতিনিয়ত তাঁদের সহযোগিতার সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতে হবে। প্রশাসনের কাছে খবর রয়েছে, মহাকুম্ভ নিয়ে কিছু ভুয়ো ওয়েবসাইট বা অ্যাপ তৈরি করে প্রতারণার ছক কষা চলছে। এনিয়ে যোগী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এটা দুঃসাহসিক পদক্ষেপ। এমন অভিযোগ উঠলে পুলিশকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। মেলা চত্বরে ২৫টি জায়গায় রেশন বিতরণ হবে। তার জন্য ৫টি গুদাম ও ১২৫টি অস্থায়ী রেশন দোকান তৈরি করা হয়েছে। ৬টি পুণ্যস্নান উৎসবে তীর্থযাত্রীদের উপর ফুলের বর্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সকলকে সময়ের মধ্যে সমস্ত কাজ শেষ করা এবং মেলা শুরু সময় অনুযায়ী কাজ করার কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী।

উল্লেখ্য, এবারে মেলা আয়োজনে ডিজিটাল প্রযুক্তিকে ব্যাপক হারে কাজে লাগাচ্ছে যোগী সরকার। তৈরি করা হয়েছে ‘মহাকুম্ভ ল্যান্ড অ্যান্ড ফেসিলিটি অ্যালোকেশন’ অ্যাপ। সেখানে এক ক্লিকেই জানা যাচ্ছে পুণ্যার্থীদের প্রয়োজনের যাবতীয় তথ্য। এই অ্যাপের মাধ্যমেই পরিষেবা মিলছে দ্রুত। মেলায় অংশগ্রহণের আবেদন করা যাচ্ছে। মেলা প্রাঙ্গনে স্থান পাওয়া এবং পরিষেবা সংক্রান্ত অনুমোদনের মিলেছে কি না, তাও বলে দেবে এই বিশেষ অ্য়াপ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement