সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে পুলিশের জালে বাবা সিদ্দিকি হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত মূল শুটার। রবিবার মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ ও এসটিএফের যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছে শিবা নামের ওই হত্যাকারীকে। পুলিশের দাবি, এই শিবার গুলিতেই মৃত্যু হয়েছিল এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকির। পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয়েছে শিবার একাধিক সহযোগীকেও।
১২ অক্টোবর মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন বিধায়ক বাবা সিদ্দিকিকে গুলিতে ঝাঁজরা করে দেয় আততায়ীরা। পুলিশ সূত্রের দাবি, শুধু বাবা নন, হত্যাকারীদের টার্গেটে ছিলেন সিদ্দিকির পুত্র বিধায়ক জিশান সিদ্দিকিও। রীতিমতো কপালজোরে রক্ষা পান তিনি। এই খুনের দায় স্বীকার করেছে কুখ্যাত লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং। দাবি করা হয়, সলমন খানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ও দাউদ গ্যাংয়ের সঙ্গে যোগ থাকার জেরেই বাবা সিদ্দিকিকে হত্যা করেছে তারা। এই হত্যাকাণ্ডের ত্রন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যে তালিকায় রয়েছে অস্ত্র সরবরাহকারী থেকে শুরু করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত একাধিক জনকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ড চালানোর পর পালিয়ে বেড়াচ্ছিল উত্তরপ্রদেশের কৈশরগঞ্জের বাসিন্দা শিবা। উদ্দেশ্য ছিল কোনওভাবে নেপাল পালানোর। শিবার সন্ধানে নেমে পুলিশের কাছে খবর আসে, নেপাল পালানোর জন্য উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচে যাচ্ছে অভিযুক্ত। সেই মতো প্রস্তুত ছিলেন তদন্তকারীরা। বাসে করে যাওয়ার সময় বাহরাইচের নানপাড়া কোতোয়ালি এলাকার হান্দা বাশেহারি গ্রামের কাছে বাসটিকে থামায় পুলিশ। এর পর বাস থেকে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তকে। পাশাপাশি ওই বাসে শিবার সঙ্গে থাকা আরও বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, গ্রেপ্তারের পর কাছের এক হোটেলে অভিযুক্তকে নিয়ে যান তদন্তকারীরা। সেখানে প্রায় দুঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় শিবাকে। জেরায় অভিযুক্ত স্বীকার করেছে নেপাল পালানোর ছক ছিল তার। শুধু তাই নয়, পুলিশের কাছে অভিযুক্ত জানিয়েছে সে সিদ্দিকি হত্যাকাণ্ডের দায় নেওয়া লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের পর তাকে দিল্লিতে নিয়ে আসা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.