Advertisement
Advertisement

পোশাকের জন্য অভিজাত ক্লাবে চরম অপমানিত মহিলা আমলা

জানেন, কী পোশাক পরেছিলেন ওই উচ্চপদস্থ আধিকারিক

‘Maid’ like Meghalaya woman denied entry in Delhi Golf club
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 27, 2017 9:55 am
  • Updated:June 27, 2017 9:55 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানুষের কদর কি কেবলমাত্র পোশাকেই সীমাবদ্ধ? সভ্যতার মাপকাঠি কারা নির্ধারণ করে দিয়েছে? উচ্চশ্রেণি কিংবা নিম্নশ্রেণির সংজ্ঞাই বা কী? এমনই কিছু প্রশ্ন উঠেছিল গত বছর। যখন ড্রাইভারের সঙ্গে শহরের ‘অভিজাত’ রেস্তরাঁ মোকাম্বোতে প্রবেশ করতে গিয়ে বাধা পেয়েছিলেন দিলাশি হেমনানি। ফেসবুক হয়েছিল দিলাশির প্রতিবাদের হাতিয়ার। নিন্দায় সরব হয়েছিলেন নেটদুনিয়ার বাসিন্দারা। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি এবার ঘটল রাজধানী দিল্লিতে। এবার হেনস্তার শিকার হলেন অসম সরকারের স্বাস্থ্যবিভাগের উচ্চপদস্থ আধিকারিক তেইলিন লিংডো। খাসি সম্প্রদায়ের প্রথাগত পোশাক পরায় পরিচারিকা আখ্যা দিয়ে দিল্লির অভিজাত গলফ ক্লাব থেকে বের করে দেওয়া হল তাঁকে।

[আসছে GST, এবার অনলাইন কেনাকাটায় পকেটে আরও বেশি কোপ?]

Advertisement

রবিবার এই ঘটনা ঘটে। গলফ ক্লাবেরই এক সদস্যের নেমন্তন্ন রক্ষা করতে গিয়েছিলেন তেইলিন লিংডো। খাসি সম্প্রদায়ের প্রথাগত পোশাক ‘জেইনসেম’ পরেই ক্লাবে গিয়েছিলেন তিনি। একটি টেবিলে বসেছিলেন। অভিযোগ, ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরই সেখানে এসে উপস্থিত হয় ম্যানেজার এবং এক মহিলা। তারা তাঁকে বলেন, নেপালি পোশাক পরে রয়েছেন তিনি। যা তাঁর পরিচারিকা হওয়ার প্রমাণ। আর পরিচারিকাদের ক্লাবের এই অংশে আসার অনুমতি নেই।

লিংডোর মতোই নিমন্ত্রিত ছিলেন ডা. নিবেদিতা বড়ঠাকুর। যিনি ফেসবুকের মাধ্যমে এই ঘটনাকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন। তিনি জানান, নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন লিংডো। জানিয়েছিলেন, অসম সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিক তিনি। আর এটি খাসি সম্প্রদায়ের প্রথাগত পোশাক। এই পোশাক পরেই তিনি আমেরিকা, সৌদি আরবের মতো দেশে ঘুরে এসেছেন। সেখানেও প্রশংসিত হয়েছে এই পোশাক। কিন্তু এরপরও নাকি ম্যানেজার ও ওই মহিলা তাঁকে ‘নেপালি পরিচারিকা’ বলে অপমানিত করতে থাকে। আর ক্লাব থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।

 

[সুখবর! জুলাইয়ে বেতন বাড়ছে অধ্যাপক, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের]

ঘটনার তীব্র নিন্দায় সরব হয়েছেন নেটদুনিয়ার বাসিন্দারা। অনেকেই একে উপনিবেশের হ্যাংওভার বলে ব্যাখ্যা করেছেন। লিংডো মনে করেন, কিছু মানুষের শিক্ষার অভাবেই নিজের দেশের একটি বিশিষ্ট সম্প্রদায়ের প্রথাগত পোশাক সম্পর্কে তারা জানেই না। খেটে খাওয়া পরিচারিকারাই বা খাটো কেমন করে হতে পারেন বলে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার মুখে পড়ে শেষে লিংডোর কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয় গলফ ক্লাব কর্তৃপক্ষ।

[এবার বাংলার যাত্রাপালায় প্রচার রাষ্ট্রসংঘে পুরস্কৃত ‘কন্যাশ্রী’র]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement