সংসদের বাইরে মহুয়া মৈত্র। ছবি: পিটিআই
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুরুটা করেছিলেন নজরুল কাব্য দিয়ে। শেষ করলেন সুকান্ত ভট্টাচার্যে। এথিক্স কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে সাংসদ পদ হারিয়ে রীতিমতো বিস্ফোরণ ঘটালেন মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। সুকান্তকে উদ্ধৃত করে প্রতিশোধের বার্তা দিয়ে গেলেন তৃণমূল সাংসদ। বলে গেলেন,”আদিম হিংস্র মানবিকতার যদি আমি কেউ হই, স্বজন হারানো শ্মশানে তোদের চিতা আমি তুলবই।’ তৃণমূল সাংসদের অভিযোগ, এই নীতি কমিটির কোনও নীতিই নেই।
শুরু থেকেই মহুয়া দাবি করে আসছেন, তাঁর বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ আনা হয়েছে সবটাই সাজানো, মনগড়া এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সাংসদ পদ খোয়ানোর পরও একই দাবি করেছেন তিনি। তৃণমূল (TMC) সাংসদের দাবি, এমন দুজন নাগরিকের বয়ানের ভিত্তিতে তাঁকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হল, যাঁরা পরস্পরবিরোধী কথা বলেছেন। এদের মধ্যে একজন তাঁর প্রাক্তন সঙ্গী, যিনি প্রতিশোধস্পৃহা থেকে মনগড়া অভিযোগ তুলে গিয়েছেন। আরেকজন ব্যবসায়ী যাঁকে জিজ্ঞাসাবাদই করা হয়নি।
মহুয়ার দাবি, “এথিক্স কমিটি ক্যাশ ফর কোশ্চেনের অভিযোগ তুলছে। অথচ, কোথাও কোনও ক্যাশের লেনদেনের প্রমাণ মেলেনি। আমাকে বলা হয়েছে, আমি লোকসভার লগ ইন আইডি ব্যবসায়ীকে দিয়ে দিয়েছি। কিন্তু সংসদের নিয়মে কোথাও লেখা নেই যে এটা অনৈতিক।” তৃণমূল সাংসদের সাফ কথা, মোদি সরকার যদি ভেবে থাকে যে এভাবে আদানি (Adani Group) ইস্যু দমিয়ে রাখা যাবে, তাহলে ভুল ভাবছে। এই ক্যাঙ্গারু কোর্টের মাধ্যমে গোটা দেশ বুঝে গেল, আদানিকে বাঁচানোর জন্য মোদি সরকার কতদূর যেতে পারে। আজ গোটা দেশ বুঝে গেল আদানি মোদির জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কাল হয়তো আমার বাড়িতে সিবিআই পাঠানো হবে। হয়তো আগামী ৬ আস আমাকে হেনস্তা করা হবে। কিন্তু আমি প্রশ্ন করবই।”
মহুয়ার প্রশ্ন, ”ভরা সংসদে দাঁড়িয়ে বিজেপির রমেশ বিধুরি (Ramesh Bidhuri) দানিশ আলিকে বলে গেলেন, তুই মোল্লা, তুই নপুংসক, তুই কাটুয়া- তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না। অথচ আমাকে বহিষ্কৃত করা হল কীসের ভিত্তিতে? বিদায়বেলায় প্রত্যয়ের সুর শোনা গিয়েছে তৃণমূল সাংসদের গলায়। তিনি বলে গিয়েছেন, “আমার বয়স ৪৯ বছর। আরও ৩০ বছর লড়াই করব। আমি ফিরব। শেষ দেখে ছাড়ব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.