সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খুন হওয়ার সময় ‘হে রাম’ শব্দটি উচ্চারণ করেননি মহাত্মা গান্ধী। প্রায় ৭০ বছর আগে ২০০৬ সালে এই দাবি করে দেশবাসীকে চমকে দিয়েছিলেন তিনি। এবার প্রায় এক দশক পর সেই প্রসঙ্গে ফের মুখ খুললেন মহাত্মা গান্ধীর আপ্ত সহায়ক বেঙ্কিটা কল্যাণম।
[‘পাখির চোখ’ পঞ্চায়েত নির্বাচন, দলীয় বৈঠকে সংগঠনকে চাঙ্গা করার দাওয়াই মমতার]
‘নাথুরাম গডসের গুলিতে খুন হওয়ার সময় মহাত্মা গান্ধী ‘হে রাম’ বলেননি এমন কথা কোনওদিন বলিনি।’ এমনটাই দাবি করেছেন কল্যাণম। ১৯৪৩ থেকে ১৯৪৮ পর্যন্ত গান্ধীজির আপ্ত সহায়ক ছিলেন তিনি। কল্যাণম আরও দাবি করেন, তাঁকে ভুল উদ্ধৃত করা হয়েছিল। ফলে তাঁর মন্তব্য নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায়। এনিয়ে বিস্তর আলোচনা-সমালোচনাও হয় সেই সময়। তারপরই তাঁর বক্তব্যকে খারিজ করে দিয়েছিলেন গান্ধীজির প্রপৌত্র তুষার গান্ধী। মহাত্মা গান্ধী হত্যাকাণ্ড মামলার শুনানি চলাকালীন গুরবচন সিংয়ের দেওয়া সাক্ষ্য উদ্ধৃত করে তিনি বলেছিলেন, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর বাপু হাতজোড় করে ‘হে রাম’কথাটা উচ্চারণ করেছিলেন।
প্রায় এক দশক পর ওই প্রসঙ্গে মুখ খুলে ফের বিতর্ক উসকে দিয়েছেন কল্যাণম। এখন তাঁর বয়স ৯৬। ১৯৪৮-এর ৩০ জানুয়ারি মহাত্মা খুনের প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন বলে দাবি করেন কল্যাণম। ‘হে রাম’ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সাফাই দিয়ে তিনি বলেন, “গান্ধীজি হে রাম শব্দটি মৃত্যুর সময় উচ্চারণই করেননি, এমন কথা আমি কখনও বলিনি। আমি বলেছিলাম, তাঁকে ‘হে রাম’ বলতে শুনিনি। গান্ধীজি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর সেখানে প্রবল শোরগোল শুরু হয়। সকলেই চিৎকার করছিলেন। ওই হট্টগোলের মধ্যে আমি কিছু শুনতেই পাইনি। হতে পারে, তিনি ‘হে রাম’ বলেছিলেন, কিন্তু আমি শুনতে পাইনি।”
শুধু তাই নয় এদিন রাজনৈতিক দলগুলিকে একহাত নিয়েছেন তিনি। তাঁর আক্ষেপ, গডসে গান্ধীজিকে একবারই হত্যা করেছিল। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলি মহাত্মার আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে প্রতিদিনই তাঁকে হত্যা করছে। তাঁর এই বয়ানে কংগ্রেসের প্রতি কিছুটা ক্ষোভও রয়েছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এছাড়াও রাজনীতির পাল্লায় যে মূল্যবোধের ওজন ক্রমশ কমছে তা স্পষ্ট করে দিলেন তিনি বলেই মনে করছেন অনেকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.