ছবি: প্রতীকী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাতৃদুগ্ধ অমৃত সমান! সেকথা মাথায় রেখে গার্হস্থ্য হিংসা তৎসহ মামলায় মায়ের পক্ষে রায় দিল মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) একটি আদালত। আঠেরো মাসের সন্তানের হেফাজত পেলেন তরুণী। শিশুর দশ মাস বয়সে উভয়পক্ষের মধ্যে ঝামেলার সূত্রপাত। এর পর থেকেই বাবা এবং দাদু-ঠাকুমার কাছে থাকছিল শিশুটি। কোলের সন্তানকে কাছে পেতে মামলা করেন মা। তাঁর পক্ষেই গেল রায়। দায়রা আদালতের বিচারকরা জানালেন, যাবতীয় অভিযোগের ঊর্দ্ধে শিশুসন্তানের জন্য মাতৃদুগ্ধ অত্যন্ত জরুরি। এর বিকল্প হতে পারে না।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে দেখাশোনা করে বিয়ে হয় ওই দম্পতির। ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে শিশুপুত্রের জন্ম দেন তরুণী। তাঁর অভিযোগ, স্বামী ও তাঁর আত্মীয়রা নিয়মিত নির্যাতন চালাতেন। এমনকী ২০২২-এর ৮ মার্চ তাঁকে শ্বশুরবাড়ি থেকে থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপরই স্বামী এবং তাঁর আত্মীয়দের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগে ম্যাজিসট্রেট কোর্টে মামলা করেন তিনি। যদিও আলোচনায় সমস্যার সাময়িক সমাধান হয়। কিন্তু ফের তরুণীকে শশুরবাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপর সন্তানের হেফাজত চেয়ে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা করেন তিনি। পালটা দায়রা আদালতে যান স্বামী। যদিও মায়ের পক্ষেই রায় দিল উচ্চ আদালত।
তরুণীর স্বামীর আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছিলেন, আর্থিকভাবে অক্ষম তরুণী। চাকরির চেষ্টা করছেন। শিশুর দেখভাল করতে পারবেন না। তাছাড়া দশ মাস বয়স থেকেই বাবা এবং দাদু-ঠাকুমার কাছে রয়েছে শিশুটি। পালটা তরুণী জানান, শ্বশুরবাড়িতে পাঁচটি কুকুর রয়েছে। অপরিচ্ছন্ন পরিবেষে অসুস্থ হয়ে পড়বে তাঁর সন্তান। এও জানান যে নিজের ইচ্ছেতে নয়, বরং গার্হস্থ্যের হিংসার শিকার হয়েই ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। সব পক্ষের কথা শুনে আদালত মায়ের হেফাজত মঞ্জুর করেন। বিচারকরা মন্তব্য করেন, আঠারো মাসের সন্তানের জন্য মাতৃদুগ্ধ অত্যন্ত জরুরি। যার বিকল্প হতে পারে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.