সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংরক্ষণের দাবি নাহয় মেনে নেওয়া গেল। কিন্তু চাকরি কোথায়? চাকরির বাজার দিনে দিনে সংকুচিত হচ্ছে যেখানে, সেখানে সংরক্ষণ মেনে নিয়েও কি কোনও লাভ হবে? আর কেউ নয়, এ কথা বললেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। নীতীন গড়কড়ির এই মন্তব্যে দেশে চাকরি-বাকরির বেহাল অবস্থাটা আর গোপন থাকল না বলেই সরব হয়েছে বিরোধীরা।
[ ‘সারা ভারতেই কি বাংলা ভাষায় কথা বলা অপরাধ?’ ]
সংরক্ষণের দাবিতে গোটা মহারাষ্ট্রই উত্তাল। তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে আন্দোলন। তা নিয়েই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়কড়ি বলেন, “তর্কের খাতিরে যদি সংররক্ষণ দিয়েও দেওয়া হয়, তাহলে পালটা প্রশ্ন ওঠে, চাকরি কোথায়? আইটি-র কারণে ব্যাংকিং সেক্টরে চাকরি কমে আসছে।” সরকারি চাকরিও নেই সেভাবে, তাহলে সংরক্ষণ দিয়েও কী লাভ হবে সে প্রশ্নই তোলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর দাবি, সংরক্ষণ নিয়ে একাধিক মত আছে। সকলেই বলছেন যে তিনি অনুন্নত শ্রেণির এবং সংরক্ষণের আওতায় আসতে চান। ফলে পুরো বিষয়টি নিয়েই রাজনীতি হচ্ছে। তাঁর মতে, যিনি গরিব মানুষ তিনি গরিব মানুষই। তাঁকে কোনও ধর্ম-জাতের নিগড়ে বেঁধে লাভ নেই। এই এক ধরনের মত যেমন আছে, আবার অন্য মত বলছে, প্রতিটি শ্রেণিরই যাঁরা একদম দরিদ্র তাঁদের উপর নজর দিতে হবে। পুরো বিষয়টিকে আর্থ-সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে হবে বলে মত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। কিন্তু তা নিয়ে রাজনীতি কখনওই কাম্য নয়। তাঁর দাবি, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী যথাসম্ভব দক্ষতায় পুরো বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে চাইছেন। কিন্তু কোনও রাজনৈতিক দলেরই এই নিয়ে আগুনে ঘি ঢালা উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
[ নিঃস্ব বৃদ্ধার মৃত্যুতে দর্শক গ্রামবাসী, একাই সৎকার করলেন বিধায়ক ]
তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মুখে এ কথা শোনার পরই বিরোধীদের একাংশ সরব হয়েছে। তাঁদের দাবি, সরকারের কাছে যে চাকরি নেই, এ কথার পর আর তা গোপন থাকছে না। কারণ খোদ মন্ত্রীই বলছেন, সরকারির চাকরির বাজার সংকুচিত হয়েছে। সংরক্ষণ তো পরের কথা, তাহলে কেন্দ্র যে এত চাকরির প্রতিশ্রুতি দেয়, তারই বা যৌক্তিকতা কোথায়? প্রশ্ন অনেকেরই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.