ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আতঙ্কে কাঁটা গোটা দেশ। মারণ চিনা ভাইরাস রুখতে কী কী সতর্কতা নেওয়া যায়, সে বিষয়ে ভেবেচিন্তে দিশাহারা সাধারণ মানুষ। অনেকেই বলছেন, মাস্কই নাকি করোনা রুখতে ব্রহ্মাস্ত্রের মতো কাজ করতে পারে। তাই হু হু করে বাড়ছে বিক্রি। এই সুযোগে ব্যবসা জমিয়েছে বেশ কিছু কালোবাজারিও। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) চিন্তিত যে প্রয়োজনে হয়তো মাস্কের আকাল হতে পারে। সেই সমস্যা মেটাতে নয়া উদ্যোগ মহারাষ্ট্র প্রশাসনের। এবার থেকে প্রেসক্রিপশন ছাড়া আর বিক্রি করা হবে না N95 মাস্ক।
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তরফে জানানো হয়েছে, “যে হারে N95 মাস্ক অকারণে ব্যবহার করা হচ্ছে, তাতে আকাল দেখা দেওয়াই স্বাভাবিক। যদি সর্দি-কাশির সমস্যা দেখা যায় তাতে অন্য ধরনের মাস্ক ব্যবহার করুন। ভিড়ে ঠাসা জায়গায় গেলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন। তাতে N95 মাস্ক পরার প্রয়োজনীয়তা নেই। অযথা ভয় পেয়ে N95 মাস্ক ব্যবহার করে জোগানে ঘাটতি তৈরি করবেন না।” হু’র নির্দেশিকার পরই তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করে মহারাষ্ট্র প্রশাসন। তারপর জানানো হয়েছে, এবার থেকে আর ইচ্ছামতো N95 মাস্ক কিনতে পারবেন না কেউ। যদি চিকিৎসক প্রেসক্রিপশনে ওই মাস্ক ব্যবহারের কথা উল্লেখ করেন, তবেই তা কেনা যাবে। প্রশাসনের বক্তব্য, যে হারে N95 মাস্ক কিনছেন সাধারণ মানুষ, তাতে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মাস্কের আকাল দেখা দিতে পারে। ভবিষ্যতের কথা ভেবে N95 মাস্ক বিক্রিতে রাশ টানা হচ্ছে।
যদিও মহারাষ্ট্র প্রশাসনের সিদ্ধান্ত নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। অনেকেই বলছেন, “করোনা ভাইরাস একবার শরীরে বাসা বাঁধলে আর কিছুই করা যাবে না। তাই সাবধানতার জন্য N95 মাস্ক ব্যবহার করা প্রয়োজন। না হলে যেকোনও মুহূর্তে বিপদে পড়তে পারি আমরা।” তবে কেউ কেউ আবার মহারাষ্ট্র প্রশাসনের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন। ভবিষ্যতের কথা ভেবে আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.